যেসকল উদ্ভিদের ফুল ও ফল হয় এবং বীজ দ্বারা বংশবিস্তার করে তাকে সপুষ্পক উদ্ভিদ বলে। যেমন: গোলাপ, জবা, আম, শাপলা হলো সপুষ্পক উদ্ভিদ।
সপুষ্পক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যঃ
- এদের ফুল ও ফল হয়।
- মূল, কাণ্ড ও পাতা রয়েছে।
- সপুষ্পক উদ্ভিদ শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত থাকে।
- এরা আকারে বড়, শক্ত ও মজবুত হয়।
- নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করতে পারে।
- এদের মূল মাটির অনেক গভীরে যায়।
সপুষ্পক উদ্ভিদ দুই প্রকারঃ
- নগ্নবীজী
- আবৃতবীজী/গুপ্তবীজী
১. নগ্নবীজীঃ
যেসব উদ্ভিদের ফুল ও বীজ হয় কিন্তু তাদের ফল হয় না তাদেরকে নগ্নবীজী উদ্ভিদ(Gymnospermae) বলে। যেমন- সাইকাস, পাইনাস ও নিটাম। নগ্নবীজী উদ্ভিদের গর্ভাশয় নেই তাই তাদের ফল উৎপন্ন হয় না। দুইটি গ্রিক শব্দ Gymnos ও spermos থেকে Gymnospermae শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে।
নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট:
- এ উদ্ভিদের ফুল ও ফল হয়, কিন্তু এদের ফল হয় না।
- ফুলে ডিম্বাশয় থাকে না, যার ফলে বীজ নগ্ন থাকে।
- গর্ভাশয় না থাকার ফলে এদর ফল সৃষ্টি হয়না।
- এরা সকলেই বায়ু পরাগী।
- ডিম্বক পরিণত হয়ে বীজ উৎপন্ন করে।
২. আবৃতবীজীঃ
যেসকল উদ্ভিদের ফূল, ফল ও বীজ হয় এবং বীজগুলো ফলের মধ্যে আবৃত থাকে তাদেরকে আবৃতবীজী উদ্ভিদ বলে। যেমন: ধান, গম, ভুট্টা, আলু, আখ, বীট, চীনাবাদাম ইত্যাদি।
আবৃতবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যঃ
- এদের ফুল, ফল ও বীজ হয়।
- বীজগুলি ফলের ভিতরে আবৃত অবস্থায় থাকে।
- এ উদ্ভিদগুলির দ্বিনিষেক ঘটে।
- এদের ডিম্বকগুলো ডিম্বাশয়ে সজ্জিত থাকে।
সপুষ্পক উদ্ভিদের ছবি
Leave a Reply