যেসব উদ্ভিদের ফুল ও ফল হয় না সেগুলিকে অপুষ্পক উদ্ভিদ বলে। অপুষ্পক উদ্ভিদ স্পোর বা রেণু সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের প্রজনন কাজ সম্পন্ন করে। এদের সমাঙ্গ দেহী। অপুষ্পক উদ্ভিদে মূলের পরিবর্তে রাইজয়েড থাকে। সাধারণত ফার্ন এবং শ্যাওলা জাতীয় উদ্ভিদগুলিকে বলা হয় অপুষ্পক উদ্ভিদ।
অপুষ্পক উদ্ভিদের উদাহরণ হলো: মস, ঢেঁকিশাক, স্পাইরোগাইরা, অ্যাগারিকাস ও ক্লোরেলা ইত্যাদি।।
অপুষ্পক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
- ফুল, ফল ও বীজ হয় না।
- দেহ. মূল, কান্ড ও পাতায় বিভক্ত থাকে না।
- এসকল উদ্ভিদের বংশ বিস্তার ঘটে রেণুর মাধ্যমে।
- এদের মূল বা শিকড় মাটির গভীরে যায় না।
- আকার-আকৃতির দিক দিয়ে এরা ছোট ও নরম।
অপুষ্পক উদ্ভিদ তিন প্রকারঃ
- সমাঙ্গবর্গ
- মসবর্গ
- ফার্নবর্গ
১. সমাঙ্গবর্গঃ সমাঙ্গবর্গ উদ্ভিদের দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না। এরা সাধারণত জলজ, অর্ধজলজ অথবা স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে জন্মায়। এ উদ্ভিদগুলোর জীবনচক্রে ভ্রূণ হয় না। তাছাড়া, এদের দেহে কোনো পরিবহনতন্ত্র নেই। এই উদ্ভিদের জননাঙ্গ একককোষী।
সমাঙ্গবর্গীয় উদ্ভিদকে আবার দুইভাগে ভাগ করেঃ
- শৈবাল: শৈবাল সাধারণত নর্দমা, ডোবা, আবদ্ধ জলাশয়ে জন্মায়। এগুলির বেশিরভাগ উদ্ভিদের মতো শিকড় নেই। শৈবালের দেহে ক্লোরোফিল রয়েছে।
- ছত্রাক: ছত্রাক বর্ণহীন কারণ এদের দেহে ক্লোরোফিল থাকে না। এ উদ্ভিদগুলি পরভোজী। কিছু ছত্রাক এককোষী হয় আবার কিছু বহুকোষীও হয়। এদের সেলুলোজ থাকে না, যা উদ্ভিদের কোষ প্রাচীর তৈরি করে।
২. মসবর্গঃ মসবর্গ উদ্ভিদের দেহ, কাণ্ড ও পাতা পৃথকভাবে শনাক্ত করা যায়। এদের জননাঙ্গ বহুকোষী এবং এদের ভ্রূণ উৎপন্ন হয়। এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে।
৩. ফার্নবর্গঃ এ উদ্ভিদের একটি কান্ড, পাতা এবং মূল রয়েছে। এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে। এদের দেহে পরিবহনতন্ত্র আছে। ফার্নগুলি বনাঞ্চলে পাওয়া যায়, তবে মাটির গুণগতমান বা বায়ুর গুণগতমান উন্নয়নেও চাষ করা হয়। মানুষ এ উদ্ভিদটি খেতে পারে। একটি উদাহরণ হলো: ঢেঁকিশাক।
অপুষ্পক উদ্ভিদের ছবি:
Leave a Reply