পণ্যদ্রব্য বা সেবাকর্ম বিনিময় ও বণ্টন সংক্রান্ত কাজকে বাণিজ্য বলে। অর্থাৎ শিল্পের উৎপাদিত পণ্য প্রকৃত গ্রাহকদের নিকট পৌঁছানোর জন্য সম্পাদিত সকল কার্যক্রমকে বাণিজ্য বলে।
বাণিজ্যের প্রকারভেদ:
- ট্রেড বা পণ্য বিনিময়
- ট্রেড বা পণ্য বিনিময় সহায়ক কার্যাবলি
ট্রেড বা পণ্য বিনিময়কে আবার দুই ভাগে ভাগ করে:
- অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য
১. পাইকারি ব্যবসায়
২. খুচরা ব্যবসায় - বৈদেশিক বাণিজ্য
১. আমদানি
২. রপ্তানি
৩. পুনঃরপ্তানি
ট্রেড বা পণ্য বিনিময় সহায়ক কার্যাবলি আবার ৫ প্রকার:
- ব্যাংক
- বীমা
- পরিবহণ
- গুদামজাতকরণ
- বাজারজাতকরণ প্রসার বা বিজ্ঞাপন
ট্রেড বা পণ্য বিনিময়:
মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পণ্যদ্রব্য ক্রয় বিক্রয় কার্যকে পণ্য বিনিময় বলে। ট্রেড বা পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে উৎপাদনকারী ও ভোগকারীর মধ্যে ব্যক্তিগত বা মালিকানাগত বাধা দূর করা যায়।
১. অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য: পণ্য দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় যখন একটি দেশের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তখন তাকে অভ্যন্তরীন বাণিজ্য বলে।
২. বৈদেশিক বাণিজ্য: যখন এক দেশের সাথে অন্য দেশের মধ্যে পণ্য বা সেবা সামগ্রী বিনিময় করা হয় তখন তাকে বৈদেশিক বাণিজ্য বলে।
ট্রেড বা পণ্য বিনিময় সহায়ক কার্যাবলি:
বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়কে বিভিন্ন ধরনের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। এগুলি দূর করার জন্য ট্রেড বা পণ্য বিনিময়ের সহায়ক কাজগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন: অর্থগত বাধা দূর করে ব্যাংক, ঝুঁকিগত বাধা দূর করে বিমা, স্থানগত বাধা দূর করে পরিবহন, সময় বা কালগত বাধা দূর করে গুদামজাতকরণ, জ্ঞানগত বাধা দূর করে বিজ্ঞাপন।
Leave a Reply