বিরুৎ উদ্ভিদ কি? বিরুৎ উদ্ভিদের উদাহরণ দাও?

বিরুৎ উদ্ভিদ কি? বিরুৎ উদ্ভিদের উদাহরণ দাও?

যেসকল উদ্ভিদ আকারে ছোট হয় ও এদের কাণ্ড নরম সেসকল উদ্ভিদকে বিরুৎ উদ্ভিদ বলে।

বিরুৎ উদ্ভিদের উদাহরণ হলো: ধান, সরিষা, মরিচ, লাউ, কুমড়া, পুঁই শাক ঘাস, কচু ইত্যাদি।

বিরুৎ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য সমূহ:

  1. বিরুৎ উদ্ভিদ আকারে ছোট হয়।
  2. এদের কাণ্ড, শাখা-প্রশাখা নরম হয়।
  3. এদের শেকড় মাটির গভীরে যায় না।
  4. বিরুৎ উদ্ভিদ হলো: মরিচ গাছ, লাউ গাছ, ধান, সরিষা, ইত্যাদি।

জীবনের স্থিতিকাল অনুযায়ী বিরুৎ উদ্ভিদ ৪ প্রকার:

  1. ক্ষণজীবী উদ্ভিদ
  2. একবর্ষজীবী উদ্ভিদ
  3. দ্বিবর্ষজীবী উদ্ভিদ
  4. বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ

১. ক্ষণজীবী উদ্ভিদ: যেসব উদ্ভিদ খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের জীবনচক্র সম্পন্ন করে, তাদেরকে ক্ষণজীবী উদ্ভিদ বলে। যেমন: Balanites aegyptiaca. এ উদ্ভিদ গুলো সাধারণত দুই-িতিন মাসের মধ্যেই তাদের ফুল ও ফল প্রদানের প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়।

২. একবর্ষজীবী উদ্ভিদ: যেসব উদ্ভিদ এর জীবনচক্র ১ বছর বা এক ঋতুতেই শেষ হয় অথবা বছরে কোনো একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে জন্মে ও নির্দিষ্ট সময়ে একবার ফল দেয় তাদেরকে একবর্ষজীবী উদ্ভিদ বলে। যেমন: ধান, গম, সরিষা, ভুট্টা ইত্যাদি। এ উদ্ভিদের একটি বৈশিষ্ট্য হলো এ গাছগুলো একবার ফল দিয়ে মারা যায়।

৩. দ্বিবর্ষজীবী উদ্ভিদ: যেসব উদ্ভিদের জীবনকাল সাধারণত ২ বছর তাদেরকে দ্বিবর্ষজীবী উদ্ভিদ বলে। যেমন: মুলা, বাধাকপি, গাজর ইত্যাদি।

৪. বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ: যেসব উদ্ভিদ ২ বছরের বেশি সময় বেঁচে থাকে তাদেরকে বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ বলে। যেমন: আদা, হলুদ, কলাবতি, দুর্বা ঘাস ইত্যাদি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

x
Share via
Copy link