-
মুরগি পক্ষিকুল শ্রেণির/শ্রেণীর অন্তর্গত কেন?
গৃহপালিত পাখিদের মধ্যে মুরগি অনত্যম। মুরগি মাংশ ও ডিম উৎপাদন করে। মুরগির দেহ পালকের দ্বারা আবৃত। এদের দুটি ডানা, দুটি পা ও একটি চচ্ঞূ আছে। এরা উষ্ণ রক্তেরে প্রণী। মুরগির হাড় শক্ত, হালকা ও ফাঁপা। এদের ফুসফুসের সাথে বায়ুথলি বিদ্যমান। এসকল বৈশিষ্ট্যও পাখির মধ্যে রয়েছে; যার ফলে মুরগিকে পক্ষিকুল শ্রেণির অন্তর্গত করা হয়েছে। মুরগির অনেক…
-
ঝিনুক কোন পর্বের প্রাণী জেনে নিন?
ঝিনুক মলাস্কা পর্বের প্রাণী। ঝিনুক এর ইংরেজি Oyster. এরা দুই খোলকবিশিষ্ট অমেরুদন্ডী প্রাণী। ঝিনুকের পরিচিতিঃ ঝিনুকের দেহ নরম থাকে, তাদের নরম দেহটি শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে। ঝিনুক পেশিবহুল পা দিয়ে চলাচল করে থাকে। ঝিনুকেরা ফুসফুস বা ফুলকার সাহায্যে শ্বসনকার্য চালায়। ঝিনুক সমুদ্রে এবং অল্প লবণাক্ত পানিতে পাওয়া যায়। ঝিনুককে খাবার হিসেবেও গ্রহণযোগ্য, প্রায় পঞ্চাশের…
-
ব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয় কেন?
ব্যাঙ তাদের জীবনের প্রথম পর্যায়ে সাধারণত পানিতে বসবাস করে এবং মাছের মতো বিশেষ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। কিন্ত যখন তাদের বয়স পরিনত হয়; তখন ব্যাঙ ডাঙায় বসবাস করে থাকে। সুতরাং ব্যাঙ জলে ও স্থলে দুই জায়গায় বসবাস করার কারনে তাদেরকে উভচর প্রাণী বলা হয়। যেমন: যেমন: কুনোব্যাঙ ফুলকার সাহায্যে পানিতে মাছের মতো শ্বাস গ্রহণ করে…
-
সিলোম কি/সিলোম কাকে বলে?
বহুকোষী প্রাণীর পৌষ্টিক নালি এবং দেহ প্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে সিলোম বলে। অর্থাৎ ত্রিস্তরী প্রাণীর ভ্রূনীয় পরিস্ফুটনের সময় মেসোডার্ম স্তর থেকে সৃষ্ট যে গহ্বর মেসোডার্মাল কোষে নির্মিত পেরিটোনিয়াম নামক ঝিল্লিতে আবৃত থাকে তাকে সিলোম বলে। এ সংজ্ঞা অনুযায়ী, দেহাভ্যন্তরীণ সব গহ্বরই সিলোম নয়। বরং সিলোম ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গহ্বর দেহের অভ্যন্তরে উপস্থিত। সিলোমের উপস্থিতির উপর…
-
হিমোসিল কি/হিমোসিল কাকে বলে?
রক্তপূর্ণ দেহ গহ্বরকে হিমোসিল বলে। যে প্রাণীগুলোতে হিমোসিল বিদ্যমান: প্রজাপতি, চিংড়ি, আরশোলা, কাঁকড়া ইত্যাদি। যেমন: প্রজাপতি যা আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী এবং এর দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর রয়েছে, অর্থাৎ দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর হিমোসিল নামে পরিচিত। আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীগুলো ডানার সাহায্যে উড়তে পারে।
-
সিলেন্টেরন কি/সিলেন্টেরন কাকে বলে জেনে নিন?
নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের অর্থাৎ দেহপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা দেহ গহ্বরকে বলা হয় সিলেন্টেরন। দ্বিস্তর ভ্রূণ বিশিষ্ট প্রাণীদেরকে নিডারিয়া বলা হয়। নিডারিয়া পর্বের নামকরণ করেন বিজ্ঞানী হাসচেক ১৮৮৮ সালে।
-
অরীয় প্রতিসম প্রাণী কি/অরীয় প্রতিসম প্রাণী কাকে বলে?
কোন প্রাণীর দেহকে যদি কেন্দ্রীয় লম্ব অক্ষ বরাবর কেটে সদৃশ দুইয়ের বেশি সংখ্যক অংশে ভাগ করা যায় তখন তাদেরকে অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলে। অরীয় প্রতিসম প্রাণীর একটি উদাহরণ হলো: তারামাছ। তারা মাছের পাঁচটি সমান বাহু রয়েছে, যার ফলে এটিকে একাধিকবার বিভক্ত বা ভাগ করা যায়।
-
কুমিরকে সরীসৃপ বলা হয় কেন?
কুমির বুকে ভর করে চলাচল করে। কুমিরের ত্বক শুষ্ক ও আঁইশযুক্ত থাকে। কুমিরের চার পায়েই পাঁচটি করে নখরযুক্ত আঙ্গুল আছে। অর্থাৎ সরীসৃপ শ্রেণির সকল বৈশিষ্ট্য কুমিরের সাথে সাদৃশ্যূর্ণ/বিদ্যমান হওয়াই তাকে সরীসৃপ বলা হয়। সরীসৃপ শ্রেণীর কিছু প্রাণীর নাম যথা; টিকটিকি সাপ কুমির টুয়াটারা কাউঠা কাছিম সরীসৃপ প্রাণীগুলো হলো Reptilia শ্রেণীর মেরুদন্ডী প্রাণীর।
-
দ্বিপদ নামকরণ কি/কাকে বলে? কিছু উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম জেনে নিন?
বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা জীবের নামকরণের জন্য একটি সাধারণ ব্যবস্থা ব্যবহার করেন, এই ব্যবস্থাটি দ্বিপদী নামকরণ হিসাবে পরিচিত। এই দ্বিপদ নামকরণ ব্যবস্থায় দুটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশটি গণ এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি। জেনাস নাম এবং প্রজাতির নাম হিসাবে পরিচিত। যেমন: মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens. একত্রে জীবের জেনোসের নাম ও প্রজাতির নামকে বৈজ্ঞানিক নাম বলা হয়। বৈজ্ঞানিক…
-
বৈজ্ঞানিক নাম কি/ বৈজ্ঞানিক নাম বলতে কি বুঝায়?
আন্তর্জাতিকভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনে জীব/প্রাণীর নাম নির্ধারণ করাকেই বৈজ্ঞানিক নাম বলে। অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক নামের মাধ্যমে আমরা এই বিশ্বের সকল প্রাণীকুলকে খুব সহজেই জানতে পারি। বৈজ্ঞানিক নাম অবশ্যই ইংরেজি অথবা ল্যাটিন ভাষায় লিখতে হয়। বৈজ্ঞানিক নামের ২টি অংশ থাকে; প্রথমটি গণ এবং দ্বিতীয়টি প্রজাতি। আবার বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশটির প্রথম অক্ষর বড় হাতের হবে এবং…