-
গণহত্যা কি/ গণহত্যা বলতে কি বুঝায়? গণহত্যার সংজ্ঞা?
গণহত্যা এর ইংরেজি শব্দ হলো Genocide যার অর্থ হলো ‘কোন জাতির পরিকল্পিত ধ্বংসসাধন বা ব্যাপক হত্যাকান্ড’। গণহত্যা শব্দটি দ্বারা একটি সম্পূর্ণ গোষ্ঠীর জনগণের সর্বনাশ, তাদের অস্তিত্ব থেকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করাকেও বুঝায়। উদাহরণ স্বরুপ; ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে নারকীয় হত্যাকান্ড চালায় তাকেই গণহত্যা বলা হয়। ২৫শে মার্চ রাতে…
-
আত্মসমর্পণ দলিলে যৌথবাহিনীর পক্ষে কে স্বাক্ষর করেন?
আত্মসমর্পণ দলিলে যৌথবাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লে. জেনারেল জগজিৎ অরোরা। রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিলে যৌথবাহিনীর প্রধান হিসেবে জেনারেল অরোরা এবং পাকিস্তানের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজি সাক্ষর করেন।
-
ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
ঔপনিবেশিক যুগ ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর একনজরে জেনে নিনঃ ১. বাংলায় স্বাধীন সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন কে? উত্তর: ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। ২. ভারতে প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন কে? উত্তর: লর্ড ক্যানিং। ৩. ঢাকার প্রাচীন নাম কি? উত্তর: জাহাঙ্গীরনগর। ৪. আলিবর্দী খাঁ কত সালে মৃত্যুবরণ করেন কবে? উত্তর: আলিবর্দী খাঁ ১৭৫৬ সালে…
-
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কেন ঘটেছিল? ছিয়াত্তরের মন্বন্তর এর কারণ জেনে নিন?
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামক দুর্ভিক্ষ হয়েছিল বাংলা সন ১১৭৬-এবং ইংরেজি সন ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে। ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ছিল ভারতবর্ষের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ সময়কাল। অর্থাৎ ১৭৭০ সালে (বাংলা ১১৭৬ সনে) বাংলায় যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো তা ইতিহাসে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত। ১৭৬৫ সালে লর্ড ক্লাইভ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের রাজস্বের দায়িত্ব…
-
ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি কি | ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি করা হয়েছিল কেন?
২ অক্টোবর ১৬৪৮ সালে ত্রিশ বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষে ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৬৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়, তাকেই ‘ওেয়স্টফালিয়া চুক্তি’ বলে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন- স্পেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, জার্মান, সুইডেন, ডেনমার্ক, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, পোল্যান্ডসহ অন্যন্য কতিপয় দেশ প্রায় ৩০ বছর(১৬১৮-১৬৪৮) যাবত যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। এ যুদ্ধে…
-
কর্ণিয়া কি বা কর্ণিয়া কাকে বলে?
কর্ণিয়া হলো শ্বেতমন্ডলের সামনের অংশ। শ্বেতমন্ডলের এই অংশ স্বচ্ছ এবং অন্যান্য অংশ অপেক্ষা বাহিরের দিকে অধিকতর উত্তল। অর্থাৎ কর্ণিয়া হলো চোখের স্বচ্ছ অংশ যা চোখের সামনের অংশটি আচ্ছাদন করে। কর্ণিয়ার মূল কাজ হলো সঠিকভাবে আলোকে প্রতিবিম্বিত করা থেকে বিরত করতে পারে এবং দৃষ্টিকে প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কর্নিয়া চোখের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। স্বাস্থ্যকর চোখের জন্য…
-
অণুবীজ থলি কি বা অণুবীজ থলি কাকে বলে?
অযৌন প্রজননের ক্ষেত্রে উদ্ভিদের দেহকোষ পরিবর্তিত হয়ে অণুবীজবাহী একটি অঙ্গের সৃষ্টি করে যাকে অণুবীজ থলি বলে। সাধারনত একটি অণুবীজ থলিতে অসংখ্য অণুবীজ বিদ্যমান থাকে, তবে আবার মাঝেমাঝে একটি থলিতে একটি অণুবীজ থাকতে পারে। অণুবীজ, থলির বাইরে উৎপন্ন করলে তাকে বহিঃঅণুবীজ বলে। মিউকর উদ্ভিদে অসংখ্য অণুবীজ থলি থাকে।
-
অভিস্রবণ কি বা অভিস্রবণ কাকে বলে? অভিস্রবণ এর প্রকারভেদ?
অভিস্রবণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দ্রাবকের অণুগুলি কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা উচ্চতর দ্রাবক ঘনত্বের অঞ্চলের দিকে ব্যাপিত হওয়া, তাকেই অভিস্রবণ বলে। সহজ ভাষায়, যে প্রক্রিয়ায় একই দ্রাবক বিশিষ্ট দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লির মধ্য দিয়ে হালকা ঘনত্বের দ্রবণ থেকে পানি অধিক ঘন দ্রবণের দিকে প্রবাহিত হয়, তাকে অভিস্রবণ…
-
পুষ্পমঞ্জরি কি বা পুষ্পমঞ্জরি কাকে বলে?
উদ্ভিদের ফুলের অক্ষগুলিতে ফুলের বিন্যাসকে পুষ্পমঞ্জরি বলা হয়। অর্থাৎ কান্ডের শীর্ষমুকুল বা কাক্ষিত মুকুল থেকে উৎপন্ন একটি শাখায় ফুলগুলো বিশেষ একটি নিয়ম সাজানো থাক। ফুলসহ এই শাখাকে পুষ্পমঞ্জরি বলে।
-
মৃদগত ও মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম কি এবং এদের পার্থক্য?
বীজ থেকে গাছ উৎপন্ন হওয়ার প্রকিয়াকে অঙ্কুরোগম বলে। অঙ্কুরোদগম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন। মৃদগত ও মৃদভেদী অঙ্কুরোদগমের পার্থক্যঃ মৃদগত অঙ্কুরোদগম মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম ১. যখন ভ্রূণকাণ্ড মাটি ভেদ করে উপরে আসে কিন্তু বীজপত্র মাটির ভিতরে থেকে যায় তখন তাকে মৃদগত অঙ্কুরোদগম বলে। ১. যখন বীজপত্রসহ ভ্রূণমুকুল মাটি ভেদ করে উপরে উঠে আসে তখন তাকে মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম…