বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগন্জে তার মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। হুমায়ূন আহমেদের লেখা সকল গল্প ও উপন্যাস আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে কতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা আমরা গত কয়েক বছরের দিকে তাকালেই বুঝে যাই। তিনি তার লেখনির মধ্য দিয়ে মানুষের মনের ভিতরের কথাগুলো প্রকাশ করেছেন, এই জন্যই তিনি এতটা জনপ্রিয়।
হুমায়ূন আহমেদ এর কিছু জনপ্রিয় বইঃ
- হিমু সিরিজ
- মিশির আলি সিরিজ
- মেঘ বলেছে যাবো যাবো
- আগুনের পরশমনি
- বাদশাহ নামদার
- দেবী
- জোছনা ও জননীর গল্প
- মধ্যাহ্ন
হুমায়ূন আহমেদ আর প্রত্যেকটি লেখার মধ্য দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন আমাদের সকলের মাঝে।
নিম্নে হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উক্তি ও বাণীগুলো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করে লেখা হয়েছে, যদি ভালো লাগে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
”পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই।”
–হুমায়ূন আহমেদ
”যে ভালোবাসা না চাইতে পাওয়া যায়, তার প্রতি কোনো মোহ থাকে না।”
—হুমায়ূন আহমেদ
”ওর কিছু নিজস্ব বিচিত্র লজিক আছে। সে ঐ লজিকে চলে । অন্য কারো কথাই শোনেনা । আমার কথাও শুনবেনা ।”
—-হুমায়ূন আহমেদ
”মা হল পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনাসূদে অকৃত্রিম ভালোবাসা”
—হুমায়ূন আহমেদ
”মেয়েরা ভয়ঙ্কর দুর্যোগেও সাজ ঠিক রাখতে ভোলে না।”
—হুমায়ূন আহমেদ
”মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত ।”
—হুমায়ূন আহমেদ
আবেগ লুকাতে হয় । অতি আবেগ মানুষকে সামনে এগুতে দেয় না ।
—-হুমায়ূন আহমেদ
আমরা যে জিনিস বুঝতে পারিনা তাকেই ভয় পাই।
—হুমায়ূন আহমেদ
অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ।
—হুমায়ূন আহমেদ
সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।
—-হুমায়ূন আহমেদ
মেয়েদের চরিত্রের একটা বিশেষ দিক হল, যেই মুর্হূতে তারা অপর পক্ষের আগ্রহ টের পায়, সেই মুর্হূতে তারা দপ করে নিভে যায়।
বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল !
সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে !
বিপদ যখন আসে একটার পর একটা আসে। বিপদরা পাঁচ ভাইবোন। এদের মধ্যে খুব মিল। এই ভাইবোনরা কখনো একা কারো কাছে যায় না। প্রথম একজন যায়, তারপর তার অন্য ভাইবোনরা উপস্থিত হয়।
পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে…কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।
পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়- মানসিক কষ্ট।সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, কিন্ত তোমাকে এমন একজনকে খুজে নিতে হবে, যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।
এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে।
কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়!
ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে।
প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে তোমার জগতের একটা বিরাট অংশ দখল করে নেবে। যদি কোনো কারণে সে তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে সে তোমার জগতের ঐ বিরাট অংশটাও নিয়ে যাবে। তুমি হয়ে পড়বে শূণ্য জগতের বাসিন্দা
হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায় ।সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে
আমাদের সবার ভুবনই আলাদা। এই ভুবনও একদিন ভাঙবে। আমরা অচেনা এক বৃত্তের দিকে যাত্রা শুরু করব। সেই বৃত্ত কেমন কে জানে! পৃথিবীতেই এত রহস্য। না জানি কত রহস্য অপেক্ষা করছে অদেখা ভুবনে।
যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয় করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে পারে।
বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়।
হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায় ।সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে।
ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি|
একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা।
চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে, ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক,একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে।
যে একদিন পড়িয়েছে সে শিক্ষক । সারাজীবনই শিক্ষক। আবার যে একদিন চুরি করেছে সে কিন্তু সারাজীবনই চোর না, তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই চোর হত।
মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।
মিথ্যা হলো শয়তানের বিয়ের মন্ত্র। মিথ্যা বললেই শয়তানের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়া মানেই সন্তান-সন্ততি হওয়া। একটা মিথ্যার পর আরো অনেকগুলি মিথ্যা বলতে হয় এই কারণেই।পরের মিথ্যাগুলি শয়তানের সন্তান।
মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।
সব মানুষকেই বিনয়কে এদেশে দুর্বলতা মনে করা হয়, বদমেজাজকে ব্যক্তিত্ব ভাবা হয়।
যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না। ভালবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের প্রয়োজন নেই।একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।
দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না। ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লিখা থাকে!
পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।
তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো।আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না |
একজন সাধুর সঙ্গে তুমি যদি কিছুদিন থাক তোমার মধ্যে সাধু স্বভাব চলে আসবে। দুষ্ট লোকের সঙ্গে কিছুদিন থাক তোমার মধ্যে ঢুকবে দুষ্ট স্বভাব।
মনের তীব্র ব্যাথা কমানোর একটি উপায় হচ্ছে কিছু লেখা। যে লেখা ব্যক্তিগত দুঃখকে ছড়িয়ে দেয় সবদিকে।
মেয়েরা সাধারণত টিপ দেওয়ার ব্যাপারে খুব সাবধানী হয়। টিপ এক পাশে হলে সংসারে সতীন জোটে- তাই বাড়তি সাবধানতা।
কোন পরিবারে একজন কেউ কানে কম শুনলে বাকি সবাই জোরে কথা বলে।
বড় রকমের অসুখবিসুখের সময় মানুষের মন দুর্বল থাকে। মানুষের ব্যথা – বোধের মূল কেন্দ্র মস্তিস্ক।
মেয়েরা সিরিয়াস টাইপ পুরুষ পছন্দ করে।যারা কথায় কথায় রসিকতা করে মেয়েরা তাদের ছ্যাবলা ভাবে।
বাবা-মা’র প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই ভালো। খেলনা যখন হাসে, বা-মা হাসে। খেলনা যখন কাঁদে বাবা-মা’র মুখ অন্ধকার হয়ে যায়।
মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়।
মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ।
লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারেনা। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী।
প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে তোমার জগতের একটা বিরাট অংশ দখল করে নেবে। যদি কোনো কারণে সে তোমাকে ছেড়ে চলে যায় তবে সে তোমার জগতের ঐ বিরাট অংশটাও নিয়ে যাবে। তুমি হয়ে পড়বে শূণ্য জগতের বাসিন্দা।
কেও কারও মত হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মত। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মত হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা।
আমার সঙ্গে কি আছে জানিস? পদ্ম। নীলপদ্ম। পাচটা নীলপদ্ম নিয়ে ঘুরছি। কি অপূর্ব পদ্ম। কাউকে দিতে পারছিনা। দেয়া সম্বব নয়. হিমুরা কাউকে নীলপদ্ম দিতে পারে না।বেশিরভাগ রূপবতী মেয়ে নকল হাসি হাসে। হাসার সময় ঢং করার চেষ্টা করে। তাদের হাসি হায়েনার হাসির মতো হয়ে যায়।
বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়।
বড় বোকামিগুলি বুদ্ধিমান মানুষরাই করে।
দরিদ্র পুরুষদের প্রতি মেয়েদের একপ্রকার মায়া জন্মে যায়, আর এই মায়া থেকে জন্মায় ভালোবাসা।
জোছনা দেখতে দেখতে, আমার হটাৎ মনে হলো, প্রকৃতির কাছে কিছু চাইতে নেই, কারণ প্রকৃতি মানুষের কোনো ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখে না ।
বিরক্তিকর কোনো মানুষ ফ্রড হতে পারে না । পৃথিবী তে ফ্রড মাত্র ই ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার হয় ।
জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি।
বন্ধুত্ব তখনই গাঢ় হয় যখন কেউ কাউকে চিনে না।
কষ্ট মানুষকে পরিবর্তন করে, আবার কষ্ট মানুষকে শক্তিশালীও করে ।
মেয়ে জাতটা বড় অদ্ভুত। কী বললে পুরুষ মানুষের মন ভালো হয় সেটা যেমন জানে, আবার কী বললে পুরুষ মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যায় সেটাও জানে।
আমরা কাউকেই হারাতে চাই না, কিন্তু সবাইকেই হারাতে হয়।
—-হুমায়ূন আহমেদ
সব মানুষের মাঝে একজন মহাপুরুষ বাস করে। তাঁরা কখনো প্রকাশিত হন। কখনো হন না।
—-হুমায়ূন আহমেদ
শহরের সাথে গ্রামের এই বুঝি পার্থক্য। শহরে দৃষ্টি আটকে যায়। গ্রামে যায় না।
—–হুমায়ূন আহমেদ
না পাওয়া ভালোবাসা গুলো সব সময় সত্যি মনে হয়, পাবার পর কত জন মূল্য দিতে পারে?
—–হুমায়ূন আহমেদ
জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর! এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।
—-হুমায়ূন আহমেদ
ফেলে আসা দিনগুলোই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশি সুন্দর হয়। যেমন ধরুন আপনার স্কুল লাইফ। সত্যিই সেই দিনগুলো দারুন ছিলো।
——হুমায়ূন আহমেদ
তুমি আমার জন্যে দু’ফোটা চোখের জল ফেলেছ–তার প্রতিদানে আমি “জনম জনম কাঁদিব।
——হুমায়ূন আহমেদ
যারা বেশি কথা বলে তারা মানুষ হিসেবে ভাল হয়।
—–হুমায়ূন আহমেদ
সব মানুষের জীবনের কোন না কোন সময় অদ্ভূত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। তখন সে যুক্তির সিঁড়ি থেকে সরে দাঁড়ায়। নিজেকে সমার্পন করে রহস্যময়তার কাছে।
——হুমায়ূন আহমেদ
Leave a Reply