যে অংশীদারি ব্যবসায়ে এক বা একাধিক অংশীদারদের দায় সীমাবদ্ধ থাকে তাকে সীমিত অংশীদার বলে। অর্থাৎ, অংশীদারি ব্যবসায়ে সকল অংশীদারদের দায় অসীম থাকে না বরং এক বা একাধিক অংশীদারদের দায় তাদের মূলধন দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে, তখন তাকে সীমিত অংশীদার বা সীমাবদ্ধ অংশীদার বলা হয়।
এক কথায়, চুক্তি অনুযায়ী বা আইনগতভাবে যদি কোনো অংশীদারের দায় সীমাবদ্ধ থাকে তাকেই সীমিত অংশীদার বলে। যেসকল অংশীদারদের দায় সীমিত তারা ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না।
সীমিত অংশীদারি আইন কত সালের?
সীমিত অংশীদারি ব্যবসায়ের আদি ভূমি হলো ইংল্যান্ডে। সীমিত অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় ১৯০৭ সালের ভারতীয় সীমিত অংশীদারি আইন দ্বারা এবং ১৮৯০ সালের ইংল্যান্ডের অংশীদারি আইনের দ্বারা। সীমিত অংশীদারি ব্যবসায়ে সর্বোচ্চ ৩ জন অংশীদারের দায় সীমাবদ্ধ করা যায়।
সাংকেতিকভাবে, সীমিত অংশীদার = মূলধন বিনিয়োগ + মুনাফায় অংশগ্রহণ – পরিচালনা
সীমিত অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য:
সীমিত অংশীদারগন ব্যবসায়ের পরিচালনায় ও ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। তারা ব্যবসায় বিলু্প্তির জন্য আবেদন বা কোনো প্রকার নোটিশ জারি করতে পারে না। যদি কোনো সীমিত অংশীদারের মৃত্যু বা মস্তিষ্ক বিকৃতি বা দেউলিয়া হলেও অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলুপ্তি ঘটে না। সীমিত অংশীদার ব্যবসায় সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে ৩য় পক্ষের সাথে কোনো প্রকার চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারে না। তাছাড়া, সীমিত অংশীদারগন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে তার প্রদত্ত পুঁজির অংশ বা কোন অগ্রিম গ্রহণ করতে পারে না।
সদস্য সংখ্যা সীমিত অংশীদারি ব্যবসায়ের:
সীমিত অংশীদারি ব্যবসায়ে সর্বনিম্ন ১ জন অংশীদারের দায় সীমাবদ্ধ আর সর্বোচ্চ ৩ জন অংশীদারের দায় সীমাবদ্ধ থাকে।
সীমিত অংশীদারদের দায় ব্যবসায়ে নিয়োজিত মূলধনের পরিমাণ দ্বারা স্বীমাবদ্ধ থাকে। চুক্তি অনুযায়ী বা অন্যান্য অংশীদারদের সম্মতিতে নাবালক ব্যক্তিও সীমিত অংশীদার হতে পারে।
প্রশ্ন: কোন অংশীদার অংশীদারি ব্যবসায় পরিচালনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারে না?
উত্তর: সীমিত অংশীদার
Leave a Reply