কোনো স্থানের জনগনের ভাষা, ধর্ম, রীতি-নীতি, প্রথা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি, পছন্দ-অপছন্দ, রুচিবোধ, সামাজিক কাঠামো ও ব্যবস্থা ইত্যাদি মিলিয়ে যে পরিবেশ গঠিত হয় তাকে সাংস্কৃতিক পরিবেশ বলে।
একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে বসবাসকারী প্রত্যেকের সাংস্কৃতিক পরিবেশ একই হয়ে থাকে। সাংস্কৃতিক পরিবেশ আদর্শ এবং ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত করে থাকে। আর ধর্মীয় বিশ্বাস হলো সাংস্কৃতিক পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একেক ধর্মের রীতিনীতি একেক রকম যার ফলে তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশও ভিন্ন হয়ে থাকে।
কর্মক্ষেত্রে, বাড়িতে বা নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চলে আমরা সর্বদা সংস্কৃতি দ্বারা বেষ্টিত থাকি। যেমন: আপনি যদি অন্যকোনো দেশে ঘুরতে যান তাহলে দেখতে পাবেন তাদের চলাফেরা, চিন্তা-ভাবনা, রুচিবোধ, পছন্দ ও অপছন্দ ইত্যাদি আপনার সাথে মিলছে না। এর প্রধান কারণ হলো ওদের সংস্কৃতি আর আপনার সংস্কৃতি সম্পূর্ণ আলাদা। তাই বলা যায় সংস্কৃতি অঞ্চলভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।
সাংস্কৃতিক পরিবেশের উপর ভিত্তি একটি দেশে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায় গড়ে ওঠে। যেমন: বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যবসায় গড়ে ওঠে। তাই বলা যায় সাংস্কৃতিক পরিবেশ দেশের ব্যবসায়কে প্রভাবিত করে থাকে।
Leave a Reply