সংস্কৃতি কি | সংস্কৃতি বলতে কি বুঝ? সংস্কৃতির গুরুত্ব জেনে নিন?

সংস্কৃতি কি | সংস্কৃতি বলতে কি বুঝ? সংস্কৃতির গুরুত্ব জেনে নিন?

সংস্কৃতি হলো মানুষের জীবনযাপন, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, ভাষা পদ্ধতি, যোগাযোগ এবং আচর-আচরণ, এ সবগুলোর সমষ্ঠিকে সংস্কৃতি বলা হয়। ‍যদিও সংস্কৃতি একটি জটিল ধারণা, তবে এটি সচেতনভাবে এবং অবচেতনভাবে উভয়ভাবেই আমাদের জীবনের প্রতিটি দিককেই প্রভাবিত করে।

আরো সহজভাবে সংস্কৃতির সংজ্ঞা হলো কোনও জাতি বা গোষ্ঠির চিন্তাভাবনা, আচরণগত দিকনিদর্শ, পোশাক, ভাষা, খাদ্য, ধর্ম,সংগীত, অঞ্চল বা ভূগোল ইত্যাদির সমষ্ঠি।

সংস্কৃতিকে মানুষের জীবনযাত্রার রূপ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। যেমন: কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের লোকেরা কীভাবে চিন্তা করে, কীভাবে তারা কাজ করে, তাদের আচার-আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি, পোশাক, তাদের কথা বা ভাষা, তাদের ধর্মীয় ক্রিয়াকালাপ, সংগীত, সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়গুলো মিলিত হয়ে একটি সংস্কৃতির সৃষ্টি হয়।

আমরা সংস্কৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করি না, আমরা মূলত নির্দিষ্ট একটি সংস্কৃতিতে জন্মেছি এবং সামাজিকভাবে বাসবাস করার মাধ্যমে আমরা সংস্কৃতি শিখি বা ধারণ করি। আর সংস্কৃতি এমন এক জিনিস যা এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে সংক্রমণিত হয়। আমরা সংস্কৃতি যাকে বলি তার বেশিরভাগই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় এবং সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে সংস্কৃতির উন্নতি হয় বিভিন্নভাবে। যেমন; নতুন নতুন জিনিস তৈরির মাধ্যমে, নতুন চিন্তাভাবনার মাধ্যমে অথবা নতুন কিছু আবিষ্কারের মাধ্যমে।




বিভিন্ন গবেষক ও লেখকগণ সংস্কৃতির ধারণাটি ব্যাখ্যা করেছেন বিভিন্নভাবে, আসুন কয়েকটি সংজ্ঞা দেখে নেই;

১. শালম স্কয়ার্টজ, বলেছেন;

“সংস্কৃতি মানে একটি সমাজের মানুষের মধ্যে প্রচলিত অর্থ, বিশ্বাস, অনুশীলন, প্রতীক, মান এবং মূল্যবোধের একটি সমৃদ্ধ জটিল”

২. G.H. HOFSTEDE, বলেছেন;

“মনের একটি সম্মিলিত প্রোগ্রামিং যা একটি মানব দলের সদস্যকে অন্যের থেকে আলাদা করে”




আপনি যদি বৈশ্বিকভাবে ব্যবসা বা স্কলারশীপ পেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে যান তাহলে আপনি অন্য কোনো সংস্কৃতির সাথে খাপখাওয়ানোর জন্য ঐ সংস্কৃতির নিয়মাবলী এবং জীবনধারা বোঝা অপরিহার্য। 

সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সামাজিক ব্যবস্থা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামাজিক শৃঙ্খলা নিয়মকানুনের সম্মিলিত চুক্তির ভিত্তিতে সমাজের স্থায়িত্বকে নির্দেশ করে যা আমাদেরকে সমাজ হিসাবে কাজ করতে, সমাজ হিসাবে বসবাস করতে এবং শান্তি এবং সম্প্রীতিতে একত্রে থাকতে দেয়। 




আমরা বিভিন্নভাবে অন্যান্য সংস্কৃতিতে প্রভাবিত হতে পারি; যেমন: সংগীত, ফিল্ম, টেলিভিশন এবং শিল্পের মাধ্যমে আমরা অন্যান্য সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত হতে পারি। প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে খুব সহজেই যোাগাযোগ করতে পারি, অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। এভাবে এক সংস্কৃতি থেকে আরেক সংস্কৃতির প্রসার লাভ করে যাকে সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি বলে।

আরো পড়ুন: 

The Latest Coupon Codes For 10 Minute School

 

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

x
Share via
Copy link