মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাহিনীকে যৌথ বাহিনী বলে।
পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর সুদৃঢ় আক্রমণের জন্য ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথ বাহিনী গঠন করে। যৌথ বাহিনী গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকবাহিনীকে পরাস্থ করা। যৌথবাহিনীর আক্রমণের ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শত্রুমুক্ত হয়েছিল। যৌথ বাহিনীর তীব্র আক্রমণের দরুন ৯৩ হাজার পাকসেনা নিঃশর্তে যৌথ কমান্ডের নিকট আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। ১৬ই ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর প্রধানের নিকট পাকিস্তান বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি। যৌথ বাহিনীর কমান্ডার জগজিৎ সিং আরোরার নেতৃত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়েছিল।
সুতরাং, পাকসেনাদের পরাস্থ করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করাই ছিল যৌথ বাহিনী গঠনের মূল উদ্দেশ্য।
Leave a Reply