ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক ও ভুল তা মেনে চলা এবং ভালোকে গ্রহণ ও মন্দকে বর্জন করে চলাই হলো ব্যবসায় নৈতিকতা।
ব্যবসায়ের নৈতিকতা একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র, নৈতিকতা লিখিত এবং অলিখিত নীতি ও মান যা ব্যবসায়কে সিদ্ধান্ত এবং পরিচালনা করতে সাহায্য করে। নৈতিকতা মূলত, মানব আচরণের সমস্ত দিকের অর্থের সাথে সম্পর্কিত। নৈতিকতার মাধ্যমে কোনটি উচিত ও অনুচিত তা নির্ধারণ করা হয়।
একটি ব্যবসায়ের নীতি-নৈতিকতা প্রতিটি কর্মচারীর আচার আচরণকে প্রভাবিত করে, যেমন: ব্যবসায়ের আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক এবং গ্রাহকদের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক। ব্যবসায়ের নৈতিকতার উদ্দেশ্যটি হলো নির্বাহী-স্তরের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে নতুন নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সংস্থার মধ্যে একটি সুসংগত নৈতিক মনোভাব নিশ্চিত করা।
কোনটি সঠিক, কোনটি ভুল, কোনটা ন্যায়বিচার, কোনটা অন্যায়, কোনটি ভাল ইত্যাদি ব্যবসায়ের নৈতিকতার মধ্যে পরে। নৈতিকতা যেকোনো ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নৈতিকতা মেনে চলা ব্যবাসয় আইনের মধ্যে পরে। তাছাড়া নৈতিকতার মাধ্যমে গ্রহকদের আস্থা তৈরি করতে পারবেন। ব্যবসায়ের কর্মচারী এবং পরিচালনার জন্য ব্যবসায়ে নৈতিকতা অনুসরণ করা উপকারী।
ব্যবসায়ের নৈতিকতার মধ্যে যে বিষয়গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
- ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে সততা বজায় রাখা এবং মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করা।
- গ্রহকদের ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা।
- দেশের বিধ্যমান সরকারি আইন-কানুন মেনে চলা।
- অসৎ উপায় বা অবৈধ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা।
- বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাক।
- অবৈধ ও ক্ষতিকর পণ্য উৎপাদন না করা।
Leave a Reply