প্রকৃতি হতে সম্পদ আহরণের সাথে জড়িত সকল কর্মকাণ্ডকে বা প্রকিয়াকে প্রাথমিক শিল্প বলে। যেমন: কৃষি কাজ; জমিতে ফসল ফলানো, বীজ রোপণ করে চারা উৎপাদন, হাঁস-মুরগি পালন, গাভী পলন ইত্যাদি প্রাথমিক শিল্পের অন্তর্গত।
সুতরাং যে সব প্রক্রিয়া অবলম্বন করে প্রকৃতি হতে সম্পদ আহরণ/সংগ্রহ করাা হয় সেই সব প্রক্রিয়াকেই প্রাথমিক শিল্প বলে। প্রাথমিক শিল্প প্রাকৃতিক সম্পদ সংগ্রহ ও নিষ্কাশনের সাথে জড়িত যেমন: বন থেকে কাঠ সংগ্রহ, খনি থেকে সম্পদ উত্তোলন, মধু সংগ্রহ, নদী ও সাগর থেকে মুক্তা, শামুক, ঝিনুক ইত্যাদি সংগ্রহ।
প্রাথমিক শিল্পের মধ্যে যে শিল্পগুলি অন্তর্ভুক্ত:
- কৃষি শিল্প
- প্রজনন শিল্প
- নিষ্কাশন শিল্প
কৃষি শিল্প: কৃষি শিল্প হলো কৃষি কাজের সাথে জড়িত সকল কর্মকাণ্ড যেমন: জমিতে বীজ রোপনের প্রক্রিয়ায় চারাগাছ উৎপাদন করা, জমিতে ফসল ফলানো, বন থেকে মধু সংগ্রহ করা, খনি থেকে প্রাকৃতিক সম্মদ উত্তোলন, বন থেকে কাজ সংগ্রহ, নদী ও সাগর থেকে মুক্তা, শামুক ও ঝিনুক সংগ্রহ ইত্যাদি।
প্রজনন শিল্প: যে শিল্প প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপাদিত সামগ্রী পুনরায় বা বারবার উৎপাদন বা সৃষ্টির কাজে ব্যবহৃত হয় তাকে প্রজনন শিল্প বলে। যেমন: হাঁস-মুরগীর খামার, হ্যাচারী ও নার্সারী ইত্যাদি।
নিষ্কাশন শিল্প: যে শিল্প প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভু-গর্ভস্থ পানি বা বায়ু হতে সম্পদ আহরণ বা উত্তোলন করা হয় তাকে নিষ্কাশন শিল্প বলে। যেমন: মুক্ত, শামুক ও ঝিনুক সংগ্রহ, মাছ ধরা, খনিজ সম্মপদ উত্তোলন ইত্যাদি।
প্রাথমিক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ কেন?
প্রথমিক শিল্প যেকোনো দেশের উন্নয়নের একটি বড় ক্ষেত্র। যেমন: আমাদের দেশের অর্থনীতির বুনয়াদ হলো কৃষি, শ্রমশক্তির প্রায় ৪০.৬ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত। আর এই কৃষি ক্ষেত্রটি জড়িত প্রাথমিক শিল্পের সাথে। কৃষি খাত এর উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করে প্রতি বছর হাজার হাজার ডলার আয় করছে। অর্থবছর ২০১৮-১৯, বাংলাদেশের কৃষি ও অকৃষি পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে ৪০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে ৮৪ শতাংশ যা ৩৪ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ। আর কৃষি খাতের মোট রপ্তানি আয় ৩.৫ শতাংশ।
Leave a Reply