পরাগায়ন হলো পরাগধাণী হতে পরাগ রেণু একই ফুলে বা একই জাতের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হওয়া। পরাগায়ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি করে যা নতুন উদ্ভিদে পরিণত হয়। এটিকে বলা হয় এটি ফুলের গাছগুলিতে যৌন নিষেকের প্রথম প্রক্রিয়া।
সহজ কথায়, পরাগায়ন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা ফুল গাছগুলি পুনরুৎপাদন করে। ফুলের বংশ বিস্তারের জন্য, উদ্ভিদকে প্রথমে পরাগ দিয়ে নিষেক করা উচিত, যা এটি বীজ বিকাশ করতে দেয় যা নতুন উদ্ভিদে পরিণত হবে।
আপনি পরাগায়নকে এভাবেও বলতে পারেন, পরাগায়ন হল এক ফুল থেকে অন্য ফুলের পরাগ রেণু স্থানান্তর। সাধারণত পরাগায়ণগুলি পোকামাকড় দ্বারা বাহিত হয়ে থাকে।
পরাগায়ন মূলত ২ প্রকারঃ
- স্ব পরাগায়ন/Self pollination
- পর-পরাগায়ন/Cross pollination
স্ব পরাগায়ন/Self pollination: যখন একটি ফুলের পরাগ একই ফুল বা অন্য ফুলকে পরাগায়িত করে তখন তাকে স্ব পরাগায়ন বলে। অর্থা এটি একই ফুলের মধ্যে বা একই গাছের দুটি ফুলের মধ্যে ঘটে।
পর-পরাগায়ন/Cross pollination: যখন একটি ফুলের পরাগ একটি ভিন্ন উদ্ভিদ থেকে একটি ফুলে স্থানান্তরিত হয় তখন ক্রস পরাগায়ণ ঘটে। অর্থাৎ এটি একই প্রজাতির বিভিন্ন উদ্ভিদে দুটি ফুলের মধ্যে ঘটে। ক্রস পরাগায়নের প্রক্রিয়াটির জন্য বায়ু, জল, পোকামাকড়, পাখি, বাদুড়, শামুক এবং অন্যান্য প্রাণীদের সহায়তা প্রয়োজন।
পরাগায়ন এর গুরুত্বঃ
পরাগায়ন শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি অত্যাবশ্যক কারণ এটি আমাদের খাওয়ার ফলের উৎপাদন করে এবং আরও বেশি উদ্ভিদ তৈরি করার জন্য বীজ তৈরি করে। ফুল দিয়ে পরাগায়ন শুরু হয়। অর্থাৎ পরাগায়ন এর মাধ্যমে গাছ ফুল ও ফল উৎপাদন করে থাকে তাই এটির গুরুত্ব অপরিসীম।
Leave a Reply