টেরাকোটা অর্থ হলো; ‘টেরা’ অর্থ হলো মাটি, আর ‘কোটা’ অর্থ হলো পোড়ানো। অর্থাৎ পোড়ামাটির শিল্পকে টেরাকোটা বলা হয়।
মাটির ফলক বা পাত বানিয়ে তাতে ছবি বা নকশা খোদাই করে আগুনে পুড়িয়ে স্থায়ী রুপ দেওয়াকেই বলা হয় টেরাকোটা বা পোড়ামাটির শিল্প।
টেরাকোটা বাংলার হাজার বছরের অনেক পুরোনো শিল্প। টেরাকোটার অনেক কাজ রয়েছে; শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, বৌদ্ধ স্তূপ, ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে। মাটির সহজলভ্যতার কারনে আমাদের দেশের মানুষ মাটির শিল্পের চর্চা প্রাচীনকল থেকে করে আসছে। টেরাকোটা সাংসরিক ও অন্যান কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়। যেমন: মাটির ফলক, পুতুল, কলসি-হাঁড়ি ইত্যাদি অনেক সুন্দর মাটির তৈরি আসবাব তৈরি করা হয়।
এ শিল্পগুলো অনেক প্রাচীন এবং আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয়। যদিও এ শিল্প সময়ের অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
টেরাকোটা প্রায় দীর্ঘকাল ধরে ছিল। ইতিহাসে টেরাকোটার বিশ্বজুড়ে প্রচুর যুগের প্রচলিত সবচেয়ে বড় কারণগুলির মধ্যে একটি এটি যে কোনও জায়গায় পাওয়া যায় এবং এটি প্রতিটি মহাদেশ জুড়ে সর্বাধিক পাওয়া যায় এবং এটির অর্থ কাদামাটি হিসাবে পরিচিত। মেসোপটেমিয়ান সভ্যতা এবং সিন্ধু নদী উপত্যকার সভ্যতা সহ প্রাথমিকতম কয়েকটি সভ্যতায় বিভিন্ন পোড়ামাটির মূর্তি পাওয়া গেছে।
কিছু পোড়ামাটির নিদর্শনগুলি এত জটিল বা এমন সাংস্কৃতিক গুরুত্বের কারণে তারা বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত হয়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরুপ; “টেরাকোটা আর্মি” যা চীনের শানসি প্রদেশে অবস্থিত। এই সাইটটিতে ৮,০০০ টিরও বেশি পোড়ামাটির সৈন্য রয়েছে যেখানে অনেক ঘোড়া এবং রথ রয়েছে। চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং তাঁর সমাধিস্থলটি রক্ষা করার জন্য এবং তাঁর সাথে পরবর্তীকালে প্রবেশের জন্য কাজটি পরিচালনা করেছিলেন।
Leave a Reply