উদ্ভিদ, প্রাণী, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া এবং প্রোটোকটিস্ট সহ বিভিন্ন ধরণের জীব রয়েছে। জীব জৈবিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন শারীরিক সত্তা হিসেবে চরিত্রগতভাবে আলাদা। জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিম্নে আলোচনা করা হলো:
জীবের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ:
১. চলন / চলার গতি: জীব তাদের জায়গা স্থানান্তর করতে পারে এবং তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে। যেমন: কেঁচো বৃত্তাকার এবং অনুদৈর্ঘ্য পেশী ব্যবহার করে মাটি বা পৃষ্ঠতল বরাবর চলাফেরা করে।
২. খাদ্য গ্রহণ: জীবনধারণ করার জন্য প্রতিটি জীবই খাদ্য গৃহণ করে থাকে। অপরদিকে জড় পদার্থ কোনো খাদ্য গ্রহণ করে না।
৩. প্রজনন: জীব নিজেদের মতো একই ধরণের জীব জন্মদান করতে পারে। যা প্রজাতির বেঁচে থাকার এবং ধারাবাহিকতার জন্য অপরিহার্য।
৪. বৃদ্ধি: জীব তাদের কোষের সংখ্যা বা আকার বাড়িয়ে স্থায়ীভাবে তাদের আকার বা শুষ্ক ভর বৃদ্ধি করতে পারে। যেমন: কেঁচো ডিম থেকে বের হয় এবং দৈর্ঘ্যে এক মিটার বা তারও বেশি বেড়ে যায়।
৫. রেচন বা মলত্যাগ: বর্জ্য থেকে মুক্তি পাওয়া। অর্থাৎ প্রতিটি জীব বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের দেহে সৃষ্টি হওয়া বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।
৬. অনুভূতি: অনুভূতি বলতে প্রতিটি জীবের একটি ক্ষমতা বোঝায়, তা হল উদ্দীপনার প্রতি প্রতিক্রিয়া। অর্থাৎ আমরা আমাদের শরীরে সুঁচ ফুটালে আমার ব্যাথা অনুভব করি।
৭. শ্বাস – প্রশ্বাস: সব জীবই জন্মের পরে শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করে। জীবের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া অব্যহত থাকে।
৮. অভিযোজন: জীব নিজেদের পারিপার্শ্বিকতার সাথে নিজেকে সামঞ্জস্য করার ক্ষমতা আছে। জীব নিজেদের পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতাকেই অভিযোজন বলে।
জীব জৈব পদার্থ এবং খনিজ আয়ন যেমন পুষ্টি গ্রহণ এবং শোষণ করতে পারে। এই পুষ্টি বৃদ্ধি এবং টিস্যু মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বা শক্তি ধারণ করে।
Leave a Reply