গণহত্যা এর ইংরেজি শব্দ হলো Genocide যার অর্থ হলো ‘কোন জাতির পরিকল্পিত ধ্বংসসাধন বা ব্যাপক হত্যাকান্ড’। গণহত্যা শব্দটি দ্বারা একটি সম্পূর্ণ গোষ্ঠীর জনগণের সর্বনাশ, তাদের অস্তিত্ব থেকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করাকেও বুঝায়।
উদাহরণ স্বরুপ; ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে নারকীয় হত্যাকান্ড চালায় তাকেই গণহত্যা বলা হয়। ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তান বাহিনী পরিকল্পিতভাবে নিরীয় বাঙালিদের ওপর আক্রমণ চালায়।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ গণহত্যা সংজ্ঞায়িত করেছিল ২ নং অনুচ্ছেদে – ১৯৪৪ এর আগে এই শব্দটির অস্তিত্ব ছিল না। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে একটি জাতীয়, নৃতাত্ত্বিক, বর্ণবাদী বা ধর্মীয় গোষ্ঠী ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নিম্নলিখিত ক্রিয়াকলাপ গুলি গণহত্য হিসাবে বিবেচিত:
- পরিকল্পিতভাবে কোন জাতি বা গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংশ করার উদ্দেশ্যে তাদের সদস্যদেরকে হত্যা করা।
- গোষ্ঠীর সদস্যদের গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা।
- ইচ্ছাকৃতভাবে পুরো বা আংশিকভাবে জাতীর শারীরিক ধ্বংস আনতে অগণিত জীবনের গোষ্ঠীগত অবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করা।
- গোষ্ঠী বা জাতির মধ্যে জন্ম রোধ করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া।
- জাতির বাচ্চাদের জোর করে অন্য দলে স্থানান্তর করা এবং তাদের জন্মপরিচয় ও জাতিগত পরিচয় মুছে ফেলাকেও গণহত্যা বলে।
তৃতীয় অনুচ্ছেদ: নিম্নলিখিত আইনগুলি শাস্তিযোগ্য হইবে:
- গণহত্যা
- গণহত্যা করার ষড়যন্ত্র
- গণহত্যার জন্য প্রত্যক্ষ ও জনগণের উস্কান
- গণহত্যা করার চেষ্টা করা
- গণহত্যায় জটিলতা
Leave a Reply