স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে স্বর বা কার বলা হয়। অর্থাৎ, যখন স্বরধ্বনি ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে যুক্ত হয়ে উচ্চারিত হয়, তখন স্বরবর্ণটি সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং, স্বরবর্ণ সংক্ষিপ্তাকারে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে তাকে কার বলে।
স্বরবর্ণ রয়েছে মোট ১১টি (অ থেকে ঔ পর্যন্ত)। তার মধ্যে স্বরবর্ণের কার চিহ্ন রয়েছে মোট ১০ টি।
স্বরবর্ণের ১০টি কার চিহ্ন: আ-কার, ই-কার,ঈ-কার, উ-কার, ঊ-কার, ঋ-কার, এ-কার, ঐ -কার,ও-কার, ঔ-কার।
আ -কার (া )= কাকা, মামা, দাদা।
ই-কার ( ি) = রিমি, চিনি, বিজিবি।
ঈ- কার ( ী )= কাহিনী, ঋণী, নীতি।
উ- কার ( ু) = সুন্দর, কুইজ, কুয়াকাটা।
ঊ- কার (ূ) = প্রসূতি, সমূহ, সূর্য।
ৃ- কার (ৃ) = কৃতঘ্ন, কৃষাণ, কৃতিত্ব।
এ- কার ( ে ) = সেকেলে, সেবা, মেহেদী।
ঐ-কার ( ৈ ) = বৈশাখী, বৈজ্ঞানিক, শৈবাল।
ও -কার ( ে া ) = কোণ, কোষ, গোলাপ।
ঔ-কার ( ৌ) = কৌতুক, মৌলিক, লৌহ।
Leave a Reply