• ব্রিগেড ফোর্স কি/ ব্রিগেড ফোর্স কাকে বলে?

    ব্রিগেড ফোর্স কি/ ব্রিগেড ফোর্স কাকে বলে?

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনকে তিন জন ব্রিগেড অধিনায়কের(মেজর খালেদ মোশাররফ,মেজর কে এম সফিউল্লাহ, মেজর জিয়াউর রহমান) আওতায় যে তিনটি ফোর্সে বিভক্ত করা হয় তাকে ব্রিগেড ফোর্স বলে। তিনটি ব্রিগেড ফোর্সের নাম: ‘কে’ ফোর্স –নেতৃত্ব দেন মেজর খালেদ মোশাররফ ‘এস’ ফোর্স — নেতৃত্ব দেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ ‘জেড’ ফোর্স — নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউর রহমান

  • বধ্যভূমি কি/ বধ্যভূমি কাকে বলে?

    বধ্যভূমি কি/ বধ্যভূমি কাকে বলে?

    মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে একসাথে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হতো বা গণকবর দেওয়া হতো, সে সকল গণ কবরকে বধ্যভূমি বলা হয়। সুতরাং, বধ্যভূমি হলো এমন একটি স্থান যেখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের একাতারে গণকরব বা মাটিচাপা দিয়ে রাখা হতো।  কিছু বধ্যভূমির নাম হলো:  ঢাকার রায়ের বাজারের বধ্যভূমি ঢাকার মুসলিম বাজার…

  • অনিয়মিত বাহিনী কি/অনিয়মিত বাহিনী কাকে বলে?

    অনিয়মিত বাহিনী কি/অনিয়মিত বাহিনী কাকে বলে?

    অনিয়মিত বাহিনীকে গণ বাহিনী বলেও অভিহিত করা হয়, ছাত্র, যুকব, শ্রমিক, কৃষক ও সকল পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন সেক্টরের অধীনে অনিয়মিত বাহিনী গঠিত হয়। এ বাহিনীর সরকারী নামকরণ করা হয় ‘গণবাহিনী’ বা এফ. এম.(ফ্রিডম ফাইটার বা মুক্তিযোদ্ধা)। পাকিস্তান হানাদারদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবার জন্য মুক্তিবাহিনীর একটি শাখা হিসেবে অনিয়মিত বাহিনী গঠিত হয়। বেসামরিক সর্বস্তরের জনগণ…

  • নিয়মিত বাহিনী কাকে বলে/নিয়মিত বাহিনী কি?

    নিয়মিত বাহিনী কাকে বলে/নিয়মিত বাহিনী কি?

    ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট(EBR)এর ইউনিটগুলোর বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে যে বাহিনী গঠন করা হয়েছিল তাকেই নিয়মিত বাহিনী বলে। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ সরকার নিয়মিত বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনীও গড়ে তোলে। সরকারিভাবে এদের নামকরণ করা হয় এম. এফ.(মুক্তিফৌজ)।

  • মুক্তিফৌজ কাকে বলে/মুক্তিফৌজ কি?

    মুক্তিফৌজ কাকে বলে/মুক্তিফৌজ কি?

    মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধরত বাহিনীর একটি বড় অংশ ছিল নিয়মিত বাহিনীর যোদ্ধারা। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইউনিটগুলোর বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে এই বাহিনী গঠিত হয়। যেখানে বাঙালি সামরিক অফিসার ও সৈন্যদের নিয়ে গঠিত ছিল মুক্তিবাহিনীর নিয়মিত বাহিনী। এদের বলা হতো মুক্তিফৌজ। এদেরকে সেনাবাহিনীর বিধিবিধান ও নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। সুতরাং, নিয়মিত যোদ্ধাকে নিয়ে গঠিত বাহিনীকে বলা হয় মুক্তিফৌজ। সরকারিভাবে…

  • যৌথ বাহিনী কি/ যৌথ বাহিনী কাকে বলে?

    যৌথ বাহিনী কি/ যৌথ বাহিনী কাকে বলে?

    মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাহিনীকে যৌথ বাহিনী বলে। পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর সুদৃঢ় আক্রমণের জন্য ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথ বাহিনী গঠন করে। যৌথ বাহিনী গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকবাহিনীকে পরাস্থ করা। যৌথবাহিনীর আক্রমণের ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শত্রুমুক্ত হয়েছিল। যৌথ বাহিনীর তীব্র আক্রমণের দরুন ৯৩ হাজার পাকসেনা নিঃশর্তে যৌথ কমান্ডের…

  • অপারেশন জ্যাকপট কি/ অপারেশন জ্যাকপট কাকে বলে?

    অপারেশন জ্যাকপট কি/ অপারেশন জ্যাকপট কাকে বলে?

    অপারেশন জ্যাকপট কি? অপারেশন জ্যাকপট একটি বাংলাদেশী নৌ কমান্ডো অপারেশন ছিল, অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা নৌকমান্ডো বাহিনী দ্বারা পরিচালিত অভিযানকে অপারেশন জ্যাকপট বলে। ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট রাত ১২টার পর অর্থা] ১৬ আগস্ট, অপারেশন জ্যাকপট একইসাথে মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জের নদী বন্দরে পরিচালিত হয়েছিল। অপারেশন জ্যাকপট পরিচালিত হয়েছিল ১০ নম্বর সেক্টরের…

  • অপারেশন সার্চলাইট কি/অপারেশন সার্চলাইট কাকে বলে?

    অপারেশন সার্চলাইট কি/অপারেশন সার্চলাইট কাকে বলে?

    ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ওপর যে গণহত্যা অভিযান চালিয়েছিল তাকেই অপারেশন সার্চলাইট বলা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। হত্যা করে বহু মানুষকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আক্রমণ করে হত্যা করেছিলো অনেক ছাত্র ও শিক্ষককে। এ রাতেই শুধু ঢাকায় ৭ থেকে ৮…

  • মিত্রবাহিনী কি বা মিত্রবাহিনী কাকে বলে?

    মিত্রবাহিনী কি বা মিত্রবাহিনী কাকে বলে?

    মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে মুক্তিবাহিনীর সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীই মিত্রবাহিনী। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতীয় সহায়তাকারী বাহিনীকেই মিত্রবাহিনী বলা হয়। ১৯৭১ সালে ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠন করা হয় যৌথবাহিনী।

  • আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার পতাকা কত তারিখে উত্তোলন করা হয়?

    আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার পতাকা কত তারিখে উত্তোলন করা হয়?

    আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তলন করা হয় ১৯৭১ সালের ২৩শে মার্চ। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয় ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ। সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তৈরি হয়। এখানে সবুজ রং দ্বারা বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক এবং লাল রং দ্বারা উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধের আত্মত্যাগীদের রক্তের প্রতীক বুঝানো…