চলিত ভাষা কাকে বলে? নির্দিষ্ট অঞ্চলে একটি নির্দিষ্ট এলাকার শিক্ষিত ও শিষ্টজনের মৌখিক ভাষাকে মান ধরে চলিত ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন অঞ্চলের উপভাষার কথ্য রীতি সমন্বয়ে শিষ্টজনের ব্যবহৃত এই ভাষাই আদর্শ চলিত ভাষা। চলিত রীতির উদাহরণঃ ”পুল পেরিয়ে সামনে একটা বাঁশ বাগান পড়ল। তারি মধ্য দিয়ে রাস্তা। মচমচ করে শুকনো বাঁশ পাতার…

সাধু ভাষার ব্যাকরণের নিয়ম অনেকটা সুনির্ধারিত এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট অনুকরণে পরিকল্পিত যে নতুন সর্বজনীন গদ্যরীতি বাংলা সাহিত্যে প্রবর্তিত হয়, তাকে সাধু ভাষা বলে। ‘সাধারণত গদ্য সাহিত্যে ব্যবহূত বাঙালা ভাষাকে সাধু ভাষা বলে।’ —ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় সাধু রীতির একটি উদাহরণঃ ‘উপন্যাসের অনুরূপ কোনো বস্তু আমাদের প্রাচীন সাহিত্যে খুঁজিয়া পাওয়া যায় না।’ সাধু রীতির…

ব্যাকরণটি এমন একটি উপায় যা বাক্য তৈরির জন্য শব্দগুলিকে একসাথে যুক্ত করা। অর্থাৎ ব্যাকরণ একটি কাঠামোগত নিয়ম বা সেট যা একটি প্রাকৃতিক ভাষায় ধারা, বাক্যাংশ এবং শব্দের সমন্বয়কে পরিচালনা করে। প্রত্যেক ভাষারই চারটি মেীলিক অংশ থাকে যথাঃ ধ্বনি, শব্দ. বাক্য ও অর্থ। মূলত এক চারটি উপাদানের কার্যক্রম অর্থাৎ ধ্বনিগুলো কীভাবে উচ্চারিত হবে, শব্দগুলো কীভাবে গঠিত…

ছন্দের কতিপয় সঙ্গা সমূহ একসাথেঃ ১. অমূল্যধন মুখোপাধ্যায়ের মতে ছন্দ হলোঃ পদ বিন্যাস করিলে বাক্য শ্রুতিমধুর হয় এবং মনে রসের সঞ্চার হয়, তাহাকে ছন্দ বলে। ২. ড.সুনীতিকুমার চট্টপাধ্যায়ের মতে ছন্দ হলোঃ বাক্যস্থিত পদগুলোকে যেভাবে সাজাইলে বাক্যটি শ্রুতিমধুর হয় ও তাহার মধ্যে ভাবগত ও ধ্বনিগত সুষমা উপলব্ধি হয়, পদ সাজাইবার সেই পদ্ধতিকে ছন্দ বলে। ৩. তারাপদ…