-
মধ্য স্বরাগম কাকে বলে? মধ্য স্বরাগমের অপর নাম কি?
কখনো কখনো শব্দের মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে তাকে মধ্য স্বরাগম বলে। অর্থাৎ মধ্য স্বরাগমের ক্ষেত্রে শব্দের মাঝখানে বা মধ্যে স্বরধ্বনি আসবে। মধ্য স্বরাগমের অপর নাম হলোঃ বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি। মধ্য স্বরাগম এর উদাহরণঃ রত্ন > রতন (‘রত্ন’=(র+অ+ত+ন+অ) এবং ‘রতন’=(র+অ+ত+অ+ন+অ) অর্থাৎ ত+ন এর জায়গায় ত+অ যোগ হয়ে তন হয়েছে। ধর্ম > ধরম, স্বপ্ন > স্বপন, হর্ষ >…
-
অন্ত্যস্বরাগম কাকে বলে? অন্ত্য স্বরাগম এর উদাহরণ?
যখন শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি আসে তখন তাকে অন্ত্যস্বরাগম বলে। অর্থাৎ অন্ত্যস্বরাগম এর ক্ষেত্রে শব্দের শেষে স্বরধ্বনি আসবে। অন্ত্যস্বরাগম এর উদাহরণঃ দিশ্ > দিশা (এখানে দিশ্= দ+ই+শ এবং দিশা= দ+ই+শ+আ, অর্থাৎ দিশ্ শব্দটির শেষে আ স্বরধ্বনি যোগ হয়ে দিশা হয়েছে) সত্য > সত্যি বেঞ্চ > বেঞ্চি পোখত্ > পোক্ত
-
অপিনিহিতি কাকে বলে? অপিনিহিতি এর উদাহরণ দাও?
পরের ‘ই’ কার আগে উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে। অর্থাৎ পরের ‘ই’ বা ‘উ’ স্বরধ্বনি যদি আগে উচ্চারিত হয় অথবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ‘ই’ বা ‘উ’ স্বরধ্বনি উচ্চারিত হলে তাকেই অপিনিহিতি বলা হয়। অপিনিহিতি এর উদাহরণঃ আজি > আইজ, কালি > কাইল সাধু > সাউধ, আশু > আউস রাখিয়া > রাইখা, বাক্য > বাইক্য সত্য…
-
অসমীকরণ কাকে বলে? অসমীকরণের উদাহরণ কি?
দু্ইটি একই ধ্বনির পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য মাঝখানে যখন একটি বাড়তি স্বরধ্বনি যুক্ত হয় তখন তাকে অসমীকরণ বলে। অর্থাৎ একই ধ্বনি পাশাপাশি উচ্চারণের সময় অনেক সময় মাঝখানে একটি স্বরধ্বনি যুক্ত হয় আর এটাকেই বলা হয় অসমীকরণ। অসমীকরণের উদাহরণঃ টপ+টপ > টপাটপ (এখনে মাঝখানে একটি বাড়তি আ স্বরধ্বনি যোগ হয়েছে) ধপ+ধপ > ধপাধপ (এখনেও মাঝখানে একটি বাড়তি…
-
স্বরসঙ্গতি কাকে বলে? স্বরসঙ্গতির উদাহরণ দাও?
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবের ফলে শব্দের অপর স্বরের যে পরিবর্তন হয় তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। অর্থাৎ দুইটি স্বরধ্বনির মধ্যে সঙ্গতি রক্ষার জন্য একটির প্রভাবে আরেকটি পরিবর্তিত হলে তখন তাকে স্বরসঙ্গতি বলি। স্বরসঙ্গতির উদাহরণঃ দেশি > দিশি( এখান দেশি= দে+এ+শ+ই, দিশি= দ+ই+শ+ই)—‘ই’-র প্রভাবে ‘এ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ই’ হয়েছে। মুলা > মুলো স্বরসঙ্গতি আবার ৫ প্রকারঃ প্রগত পরাগত মধ্যগত…
-
অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি কাকে বলে? অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনির উদাহরণ?
অল্পপ্রাণ ধ্বনিঃ যেসকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় না অথবা ফুসফুস থেকে বের হওয়াা বাতাসের জোর কম থাকে, সেগুলোকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলা হয়। মহাপ্রাণ ধ্বনিঃ যেসকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস জোরে সংযোজিত হয় অর্থাৎ উচ্চারণের সময় ফুসফুস থেকে বাতাস জোরে বের হয়, সেগুলোকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি এর উদাহরণঃ অল্পপ্রাণ…
-
অন্তঃস্থ বর্ণ কোনগুলো? অন্তঃস্থ বর্ণ কাকে বলে?
যে ধ্বনির উচ্চারণ স্থান স্পর্শ ও উষ্মধ্বনির মাঝিমাঝি তাদেরকে অন্তঃস্থ ধ্বনি বলে। অর্থাৎ স্পর্শ বা উষ্ম ধ্বনির মাঝে আছে বলে য র ল ব -এসকল ধ্বনিগুলিকে অন্তঃস্থ ধ্বনি বলা হয়। এগুলোকে আবার অন্তঃস্থ বর্ণও বলা হয়। অন্তঃস্থ বর্ণ চারটি হলো: য র ল ব।
-
যৌগিক স্বরধ্বনি কতটি? যৌগিক স্বরধ্বনির প্রতীক কি কি?
যৌগিক স্বরধ্বনি দুইটি যথা: ঐ, ঔ। বাংলা বর্ণমালায় মোট যৌগিক স্বরধ্বনি ২টি। যেমন: অ+ই=ঐ অ+উ= ঔ মৌলিক স্বরধ্বনি হলো ৭টি। যথা: অ, আ, ই, উ,এ , অ্যা, ও। তাছাড়া আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বর্ণ জেনে নিন: নাসিক্য বর্ণ—ঙ, ঞ, ণ, ন, ম শিশধ্বনি– শ, ষ, স পরাশ্রিত বর্ণ– ং, ঃ,ঁ তাড়নজাত ধ্বনি– ড়, ঢ়
-
শ ষ স হ কে উষ্ম ধ্বনি বলা হয় কেন? উষ্ম বর্ণ কাকে বলে?
যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় আমরা শ্বাস যতক্ষণ খুশি রাখতে পারি, সে ধ্বনিগুলিকে বলা হয় উষ্মধ্বনি বা শিশধ্বনি। এ বর্ণ গুলি উচ্চারণের সময় শিশ দেওয়ার মতো শব্দ হয় যার ফলে এদেরকে শিশ ধ্বনিও বলা হয়। শ, ষ, স, এবং হ এই চারটি বর্ণকে উষ্ম বর্ণ বলে। এখানে উষ্ম অর্থ হলো নিঃশ্বাস। অর্থাৎ যেসব বর্ণ উচ্চারণের সময়…
-
কার কাকে বলে? কার কয়টি ও কি কি?
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে স্বর বা কার বলা হয়। অর্থাৎ, যখন স্বরধ্বনি ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে যুক্ত হয়ে উচ্চারিত হয়, তখন স্বরবর্ণটি সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং, স্বরবর্ণ সংক্ষিপ্তাকারে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে তাকে কার বলে। স্বরবর্ণ রয়েছে মোট ১১টি (অ থেকে ঔ পর্যন্ত)। তার মধ্যে স্বরবর্ণের কার চিহ্ন রয়েছে মোট ১০ টি। স্বরবর্ণের…