পদ কাকে বলে? পদ কত প্রকার ও কী কী? পদ এর উদাহরণ দাও?

পদ কাকে বলে

পদ কাকে বলে? ব্যাকরণের ভাষায় বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দকে পদ বলে। যেমন: ওমর স্কুলে যায়। এই বাক্যে তিনটি শব্দ রয়েছে যথা: “ওমর”, “স্কুলে”, “যায়” প্রত্যেকটি এক একটি পদ। সুতরাং, বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত প্রত্যেকটি শব্দকে পদ বলা হয়। যখন শব্দ বা ধাতু বিভক্তিযুক্ত হয়ে বাক্য গঠন করা হয় তখন সেই শব্দ বা ধাতুকে পদ বলা হয়। … Read more

অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে? অসমাপিকা ক্রিয়া এর উদাহরণ দাও?

অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে

অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে: যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে না বা সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ পায় না, আরো কিছু বলার আকাঙ্খা থাকে, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। সহজ ভাষায়, যে ক্রিয়াপদের দ্বারা বাক্যের অর্থ বা ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ পায় না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। অপরদিকে সমাপিকা ক্রিয়াপদের দ্বারা বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ বা সমাপ্ত হয়। অসমাপিকা ক্রিয়াপদ … Read more

স্বরধ্বনি কাকে বলে বা স্বরধ্বনি কি?

স্বরধ্বনি কাকে বলে বা স্বরধ্বনি কি

যে সকল ধ্বনি অন্য কোনো ধ্বনির সহায্য ছাড়াই নিজেই সম্পূর্ণভাবে উচ্চারিত হয় এবং যাকে আশ্রয় করে অন্য ধ্বণির সৃষ্টি হয় তাকে স্বরধ্বনি বলে। বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি মোট সাতটি। যথা: অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা। ড. সুনীতিকুমারের মতে, “ স্বরধ্বনি হচ্ছে ঐ শ্রেণির ধ্বনি, যা অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়াই স্বয়ং পূর্ণ ও স্পষ্টরূপে … Read more

অনুকার অব্যয় কাকে বলে বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় কাকে বলে?

অনুকার অব্যয় কাকে বলে বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় কাকে বলে

যে সকল অব্যয় কোনো শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয় তাদেরকে অনুকার অব্যয় বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে। যেমন: শোঁ শোঁ (বাতাসের ধ্বনি), রুম্ঝুম্ (নূপুরের আওয়াজ), ঝম্ঝম (বৃষ্টির শব্দ), বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, বজ্রের ধ্বনি কড়কড়, মেঘের গর্জন গুড়গুড় চকচক, ছমছম, টনটন, ছল্ ছল্, কল্ কল্, ঝম্ ঝম্, সিংহের গর্জন – গর গর, ঘোড়ার ডাক – … Read more

অলুক দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে? অলুক তৎপুরুষ ও অলুক বহুব্রীহি সমাস কি?

অলুক দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে অলুক তৎপুরুষ ও অলুক বহুব্রীহি সমাস কি

যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান কোনো পদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: হাতে-কলমে, পথে-ঘাটে, দেশে-বিদেশে, হাতে-নাতে, কোলে-পিঠে, তেলে-বেগুনে, বুকে-পিঠে, হাটে- বাজারে, ঘরে – বাইরে, খেতে – খামারে, সুখে – দুঃখে, হাতে – কলমে, জলে – স্থলে, ইত্যাদি। অলুক তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে? যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে … Read more

অনুসর্গ কি বা অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গের উদাহরণ দাও?

অনুসর্গ কি বা অনুসর্গ কাকে বলে অনুসর্গের উদাহরণ দাও

যে সকল অব্যয়পদ বিশেষ্য বা সর্বনামের পরে কখনো স্বাধীনভাবে আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে অর্থ প্রকাশ করতে সাহায্য করে, তাদেরকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে। যেমন: ‘স্বপ্ন দিয়ে তৈরি যে দেশ’ — এই বাক্যে ‘দিয়ে’ একটি অনুসর্গ। এখানে, ‘অনু’ অর্থ পরে বা পশ্চাতে এবং ‘সর্গ’ অর্থ সৃষ্টি বা ব্যবহার। অনুসর্গ শব্দের পরে বসে … Read more

ভাষা কাকে বলে? ভাষা কত প্রকার ও কি কি?

ভাষা কাকে বলে ভাষা কত প্রকার ও কি কি

বাগযন্ত্রের সাহায্যে তৈরিকৃত অর্থবোধক ধ্বনির সংকেতের সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকেই ভাষা বলে। এখানে বাগযন্ত্র হলো গলনালি, মুখবিবর, কন্ঠ, জিহ্বা, তালু, দাঁত, নাক ইত্যাদির সমাবেশ। আরো সহজভাবে, মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য কন্ঠনিঃসৃত বা মুখ থেকে বেরিয়ে আসা অর্থপূর্ণ কতগুলো আওয়াজ বা ধ্বনির সমষ্টিকে ভাষা বলা হয়। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, “মনুষ্যজাতি … Read more

ণ ব্যবহারের নিয়ম? ণ দিয়ে শব্দ গঠন কর?

ণ ব্যবহারের নিয়ম? ণ দিয়ে শব্দ গঠন কর?

ণ ব্যবহারের নিয়ম সমূহ: ১. ঋ, র, ষ এর পরে মূর্ধন্য(ণ) হয়। যেমন: ঋণ, তৃণ, ঘৃণা, বরণ, বর্ণ, রণ, ভূষণ ইত্যাদি। কয়েকটি বাক্য: তৃণবন স্বরঞ্জিত হয় মুক্তিমায়, সমাজের খারাপ লোকদের সকলে ঘৃণা করে, ঋণ শোধ করতে করতে টাকা শেষ চিকিৎসার খরচ কীভাবে চলবে? ইত্যাদি। ২. ট বর্গীয় ধ্বনির(ট, ঠ, ড, ঢ, ণ) পূর্বের দন্ত্য ন … Read more

অভিশ্রুতি কাকে বলে? অভিশ্রুতির উদাহরণ দাও?

অভিশ্রুতি কাকে বলে? অভিশ্রুতির উদাহরণ দাও?

অপিনিহিতির প্রভাবজাত ‘ই’ অথবা ‘উ’ ধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে মিলে শব্দের পরিবর্তন ঘটালে তখন তাকে অভিশ্রুতি বলা হয়। অভিশ্রুতিকে অপিনিহিতির পরবর্তী ধাপ বলা হয়। অভিশ্রুতির উদাহরণ হলো: করিয়া > কইরা > করে, মানিয়া > মাইন্যা > মেনে, শুনিয়া > শুনে, বলিয়া > বইলা > বলে, হটুয়া > হাউটা > হেটো, আজি > আইজ > আজ, … Read more

অন্তর্হতি কাকে বলে? অন্তর্হতি এর উদাহরণ দাও?

অন্তর্হতি কাকে বলে? অন্তর্হতি এর উদাহরণ দাও?

যখন পদের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পায় তখন তাকে অন্তর্হতি বলা হয়। অর্থাৎ কোন ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকেই অন্তর্হতি বলে। অন্তর্হতি এর উদাহরণ হলো: ফাল্গুন > ফাগুন, ফলাহার > ফলার, আলাহিদা > আলাদা ইত্যাদি।

x