-
অরীয় প্রতিসম প্রাণী কি/অরীয় প্রতিসম প্রাণী কাকে বলে?
কোন প্রাণীর দেহকে যদি কেন্দ্রীয় লম্ব অক্ষ বরাবর কেটে সদৃশ দুইয়ের বেশি সংখ্যক অংশে ভাগ করা যায় তখন তাদেরকে অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলে। অরীয় প্রতিসম প্রাণীর একটি উদাহরণ হলো: তারামাছ। তারা মাছের পাঁচটি সমান বাহু রয়েছে, যার ফলে এটিকে একাধিকবার বিভক্ত বা ভাগ করা যায়।
-
কুমিরকে সরীসৃপ বলা হয় কেন?
কুমির বুকে ভর করে চলাচল করে। কুমিরের ত্বক শুষ্ক ও আঁইশযুক্ত থাকে। কুমিরের চার পায়েই পাঁচটি করে নখরযুক্ত আঙ্গুল আছে। অর্থাৎ সরীসৃপ শ্রেণির সকল বৈশিষ্ট্য কুমিরের সাথে সাদৃশ্যূর্ণ/বিদ্যমান হওয়াই তাকে সরীসৃপ বলা হয়। সরীসৃপ শ্রেণীর কিছু প্রাণীর নাম যথা; টিকটিকি সাপ কুমির টুয়াটারা কাউঠা কাছিম সরীসৃপ প্রাণীগুলো হলো Reptilia শ্রেণীর মেরুদন্ডী প্রাণীর।
-
দ্বিপদ নামকরণ কি/কাকে বলে? কিছু উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম জেনে নিন?
বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা জীবের নামকরণের জন্য একটি সাধারণ ব্যবস্থা ব্যবহার করেন, এই ব্যবস্থাটি দ্বিপদী নামকরণ হিসাবে পরিচিত। এই দ্বিপদ নামকরণ ব্যবস্থায় দুটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশটি গণ এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি। জেনাস নাম এবং প্রজাতির নাম হিসাবে পরিচিত। যেমন: মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens. একত্রে জীবের জেনোসের নাম ও প্রজাতির নামকে বৈজ্ঞানিক নাম বলা হয়। বৈজ্ঞানিক…
-
বৈজ্ঞানিক নাম কি/ বৈজ্ঞানিক নাম বলতে কি বুঝায়?
আন্তর্জাতিকভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনে জীব/প্রাণীর নাম নির্ধারণ করাকেই বৈজ্ঞানিক নাম বলে। অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক নামের মাধ্যমে আমরা এই বিশ্বের সকল প্রাণীকুলকে খুব সহজেই জানতে পারি। বৈজ্ঞানিক নাম অবশ্যই ইংরেজি অথবা ল্যাটিন ভাষায় লিখতে হয়। বৈজ্ঞানিক নামের ২টি অংশ থাকে; প্রথমটি গণ এবং দ্বিতীয়টি প্রজাতি। আবার বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশটির প্রথম অক্ষর বড় হাতের হবে এবং…
-
শ্রেণিবিন্যাস কি/ শ্রেণীবিন্যাস কাকে বলে?
বিশাল এই জীবজগতকে চেনা বা জানার জন্য এদের বৈশিষ্ট্য উপর নির্ভর করে বিভিন্ন স্তর বা ধাপে সাজানো বা বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকেই বলা হয় শ্রেণিবিন্যাস। শ্রেণিবিন্যাসের জনক হলেন প্রকৃতি বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস। অর্থাৎ শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা হলো বিজ্ঞানের বিভিন্ন সদস্যদের যথাক্রমে সনাক্তকরণ ও তাদেরকে চেনের জন্য বিভিন্ন নামে বা দলে/স্তরে/ধাপে সাজিয়ে নেওয়া। শ্রেণীবিন্যাস করার মূল লক্ষ্য বা কারণ…
-
ইউরোকর্ডাটা কি? ইউরোকর্ডাটা প্রাণীর বৈশিষ্ট্যগুলো?
কর্ডাটা পর্বের একটি উপপর্বে হলো ইউরোকর্ডাটা। ইউরোকর্ডাটা পর্বের প্রাণীগুলোকে ইউরোকর্ডেটসও বলা হয়। ইউরোকর্ডাটা পর্বের পাণীগুলোর বৈশিষ্ট্য: প্রাথমিক অবস্থায় এদের ফুলকারন্ধ্র থাকে। পৃষ্ঠীয় ফাঁকা মেরুরজ্জু থাকে। শুধুমাত্র লার্ভা দশায় এদের লেজে নটোকর্ড থাকে। এদের মধ্যে করোটি, কশেরুকা এবং পদ অনুপস্থিত। ইউরোকর্ডাটার একটি উদাহরন হলোঃ অ্যাসিডিয়া।
-
ঔপনিবেশিক শাসন কি বা কাকে বলে?
যদি কোনো দেশ অন্য আরেকটি দেশের উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করে তবে এটিকেই ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয়। ঔপনিবেশিক শাসনের একটি বৈশিষ্ট্য হলো– দখলদার শক্তি যতদিন শাসক হিসেবে থাকবে ততদিন সেই দেশের ধন-সম্পদ নিজ দেশে পাচার করবে। অর্থাৎ এক দেশ অন্য একটি দেশের মধ্যে যদি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে তাকেই ঔপনিবেশিক বলে। এর একটি বড়…
-
মাৎস্যন্যায় কি বা মাৎস্যন্যায় কাকে বলে?
রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর একশ বছর ধরে বাংলায় অরাজকতা চলতে থাকে বা বিদ্যমান ছিল, এ অরাজকতাপূর্ণ সময়কে সংস্কৃত ভাষায় মাৎস্যন্যায় বলা হয়। ১. মাৎস্যন্যায়ের সময়কাল কত খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ছিল? উত্তর: আনুমানিক ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ছিল। ২. মাৎস্যন্যায় শব্দটি কোন ভাষার শব্দ? উত্তর: সংস্কৃত ভাষার শব্দ। ৩. মাৎস্যন্যায় কোন শাসন আমলে দেখা দেয়?…
-
ইকলিম কি বা ইকলিম কাকে বলে?
ইকলিম: বাংলার তিনটি অংশে বা স্থানে দিল্লির মুসলিম সুলতানদের তিনটি প্রদেশ বা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ফরাসি ভাষায় বলা হয় ইকলিম।
-
বঙ্গভঙ্গ কাকে বলে বা বঙ্গভঙ্গ কি?
শাসনকার্য পরিচালনার সুবিধার্থে বা সহজ করতে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলার বৃহৎ সীমানা বা অঞ্চলকে তৎকালীন ইংরেজ শাসকগণ কর্তৃক দুইভাগে ভাগ করাকে বঙ্গভঙ্গ বলা হয়। ১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গভঙ্গ সম্পন্ন করা হয় এবং যে দুটি ভাগে ভাগ করে তা হল: বাংলা প্রদেশ পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ বঙ্গভঙ্গের কারণগুলো দেখে নিন: শাসনতান্ত্রিক কারণে রাজনৈতিক কারণে…