অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন কি? অংশীদারি বিলোপসাধন কাকে বলে?

অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন কি অংশীদারি বিলোপসাধন কাকে বলে

বাংলাদেশে বহাল ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৩৯ ধারায় অনুযায়ী; “সকল অংশীদারের মধ্যকার অংশীদারি সম্পর্কের বিলুপ্তিকে অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন বলে”

অর্থাৎ অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন বলতে ব্যবসায়ের অংশীদারদের মধ্যকার সম্পর্ক, ব্যবসায়ের বিষয়-সম্পত্তি ও দেনা পাওনার সার্বিক নিষ্পত্তিকে বুঝায়। এককথায়, সকল অংশীদারদের মধ্যকার চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের বিলুপ্তিকেই অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন বলা হয়।

অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন পদ্ধতি:

বাংলাদেশে বহাল ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৩৯ ধারার মতে অংশীদারি ব্যবসায় বিলোপ সাধন ৫ ভাবে হতে পারে। যথা: 

  1. সকল অংশীদারের সম্মতিক্রমে বিলোপসাধন (অংশীদারি আইনের ৪০ ধারা অনুযায়ী)
  2. বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন (অংশীদারি আইনের ৪১ ধারা অনুযায়ী)
  3. বিশেষ ঘটনা সাপেক্ষে বিলোপসাধন (অংশীদারি আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী)
  4. বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বিলোপ সাধন (অংশীদারি আইনের ৪৩ ধারা অনুযায়ী)
  5. আদালতের নির্দেশে বিলোপ সাধন (অংশীদারি আইনের ৪৪ ধারা অনুযায়ী)

অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন পদ্ধতি সহজে বুঝে নিন নিম্নের ছবিটি থেকে:

অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন পদ্ধতি কি কি

অংশীদারি ব্যবসায় গড়ে উঠে পারষ্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। আর অংশীদারি ব্যবসায়ের সফলতা নির্ভর করে পরষ্পর বিশ্বাস ও আস্থার উপর। অন্যদিকে অংশীদারদের মধ্যে যদি পারষ্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব ও বিরোধ দেখা দেয় তাহলে ব্যসায়ের বিলোপসাধন ঘটে।

Related posts

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.