অপিনিহিতির প্রভাবজাত ‘ই’ অথবা ‘উ’ ধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে মিলে শব্দের পরিবর্তন ঘটালে তখন তাকে অভিশ্রুতি বলা হয়। অভিশ্রুতিকে অপিনিহিতির পরবর্তী ধাপ বলা হয়। অভিশ্রুতির উদাহরণ হলো: করিয়া > কইরা > করে, মানিয়া > মাইন্যা > মেনে, শুনিয়া > শুনে, বলিয়া > বইলা > বলে, হটুয়া > হাউটা > হেটো, আজি > আইজ > আজ, মাতৃকা > মাইয়া > মেয়ে, মাছুয়া > মাউছা > মেছো, বাছিয়া > বাইছ্যা > বেছে ইত্যাদি। অভিশ্রুতি এর ইংরেজি হলো Umlaut.
Read MoreDay: October 16, 2020
অন্তর্হতি কাকে বলে? অন্তর্হতি এর উদাহরণ দাও?
যখন পদের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পায় তখন তাকে অন্তর্হতি বলা হয়। অর্থাৎ কোন ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকেই অন্তর্হতি বলে। অন্তর্হতি এর উদাহরণ হলো: ফাল্গুন > ফাগুন, ফলাহার > ফলার, আলাহিদা > আলাদা ইত্যাদি।
Read Moreব্যঞ্জনচ্যুতি কাকে বলে? ব্যঞ্জনচ্যুতি এর উদাহরণ দাও?
যখন পাশাপাশি দুইটি একই উচ্চারণের ব্যঞ্জনধ্বনি থাকে এবং তাদের মধ্যে একটি লোপ পায় তখন তাকে ব্যঞ্জনচ্যুতি বলা হয়। অর্থাৎ পাশাপাশি একই উচ্চারণের দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির একটি লোপ পেলে তাকে ব্যঞ্জনচ্যুতি বলে। ব্যঞ্জনচ্যুতি এর উদাহরণ হলো: বড় দাদা > বড়দা, বউদিদি > বউদি, ছোটকাকা > ছোটকা, ছোটদাদা > ছোটদা ইত্যাদি।
Read Moreব্যঞ্জন বিকৃতি কাকে বলে? ব্যঞ্জন বিকৃতির উদাহরণ দাও?
শব্দের মধ্যে যদি কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে অন্য কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি হয় তখন তাকে ব্যঞ্জন বিকৃতি বলে। অর্থাৎ শব্দের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে নতুন ধ্বনি সৃষ্টি করে, তাকেই ব্যঞ্জন বিকৃতি বলা হয়। ব্যঞ্জন বিকৃতির উদাহরণ: ধোবা > ধোপা, কবাট > কপাট, দাইমা > দাইমা ইত্যাদি।
Read Moreদ্বিত্ব ব্যঞ্জন কাকে বলে? দ্বিত্ব ব্যঞ্জন এর উদাহরণ দাও?
একই ব্যঞ্জন পরপর দুবার উচ্চারিত হলে তাকে দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বলে। অর্থাৎ কখনো কখনো জোর দেওয়ার জন্য শব্দের মধ্যে দ্বিত্ব ব্যঞ্জন হয়ে থাকে বা একই ব্যঞ্জন দুইবার উচ্চারিত হয় তখন তাকে দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্বা বলা হয়। দ্বিত্ব ব্যঞ্জন এর উদাহরণ: পাকা > পাক্কা(ক + ক), উচ্চ(চ+চ), সকাল > সক্কাল(ক +ক), বিপন্ন(ন+ন), সম্মান(ম্ +ম) ইত্যাদি।
Read More