প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক প্রথম গ্রন্থ কে রচনা করেন? ক) দীনেশচন্দ্র সেন গুপ্ত খ) সুনীতি কুমার গ) সৈয়দ আলী হাসান ঘ) ড. মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ উত্তর: ক) দীনেশচন্দ্র সেন গুপ্ত দীনেশচন্দ্র সেন ছিলেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার তাছাড়া তিনি শিক্ষাবিদ, গবেষক ছিলেন। দীনেশচন্দ্র সেন গুপ্ত জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৬ সালে ৩ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার বগজুরি গ্রামে। তার পিতার নাম ঈশ্বরচন্দ্র সেন এবং মাতার নাম রূপলতা দেবী। দীনেশচন্দ্র সেনের প্রথান গ্রন্থসমূহ হলো; ঙ্গভাষা ও সাহিত্য, নীলমানিক, তিন বন্ধু, বেহুলা, সতী, মুক্তা চুরি, পৌরাণিকী ইত্যাদি।
Read MoreDay: April 29, 2020
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক কে?
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক কে? ক) স্বর্ণকুমারী দেবী খ) বেগম রোকেয়া গ) নওয়াব ফয়জুন্নেসা ঘ) সুফিয়া কামাল উত্তর: ক) স্বর্ণকুমারী দেবী আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম উল্লেখযোগ্য মহিলা সাহিত্যিক ছিলেন স্বর্ণকুমারী দেবী। আবার তিনিই ছিলেন প্রথম বাঙালি মহিলা ঔপন্যাসিক। স্বর্ণকুমারী দেবী জন্মগ্রহণ করেন ২৮ আগস্ট, ১৮৫৫ এবং মৃত্যু ৩ জুলাই, ১৯৩২। স্বর্ণকুমারী দেবীর উপন্যাসগুলো: দীপনির্বাণ, মালতী, বিদ্রোহ, বিচিত্রা, স্বপ্নবাণী, মিলনরাতি, ছিন্নমুকুল ইত্যাদি।
Read Moreআলাওলের পদ্মাবতী কোন ভাষা ও সাহিত্যের অনূদিত গ্রন্থ?
প্রশ্ন: আলাওলের পদ্মাবতী কোন ভাষা ও সাহিত্যের অনূদিত গ্রন্থ? ক) সংস্কৃত খ) ফারসি গ) হিন্দি ঘ) আরবি উত্তর: গ) হিন্দি আলাওলের শ্রেষ্ঠ রচনা হলো পদ্মাবতী। তিনি পদ্মাবতী রচনা করেন ১৬৪৮ সালে। পদ্মাবতী কাব্যটি হিন্দি ভাষা থেকে অনুবাদ করেন তিনি। মূল কাব্যটি হিন্দি ভাষায় লেখা-মালিক মোহাম্মদ জায়সীর – পদ্মাবৎ।
Read Moreকৌরব ও পাণ্ডবদের গৃহবিবাদ নিয়ে রচিত হয় কোনটি?
প্রশ্ন: কৌরব ও পাণ্ডবদের গৃহবিবাদ নিয়ে রচিত হয় কোনটি? ক) মহাভারত খ) চর্যাপদ গ) শ্রীকৃষ্ণকীর্ত্তন ঘ) রামায়ন উত্তর: ক) মহাভারত ভারতের দুটি মহাকাব্যের মধ্যে অন্যতম হলো মহাভারত আরেকটি রামায়ণ।মহাভারত সংস্কৃত ভাষায় রচিত একটি অন্যতম মহাকাব্য। এতে মূল উপজীব্য বিষয় হলো কৌরব ও পাণ্ডবদের গৃহবিবাদ এবং কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পূর্বাপর ঘটনাবলি। মহাভারতকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম “উপন্যাস”।
Read Moreঅন্ধকার যুগের প্রথম সাহিত্য নিদর্শন কোনটি?
প্রশ্ন: অন্ধকার যুগের প্রথম সাহিত্য নিদর্শন কোনটি? ক) শ্রীকৃষ্ণকীর্ত্তন খ) প্রাকৃতপৈয়ঙ্গল গ) বৈষ্ণব পদাবলি ঘ) চর্যাপদ উত্তর: খ) প্রাকৃতপৈয়ঙ্গল অন্ধকার যুগে প্রথম প্রাকৃত ভাষায় রচিত গীতিকবিতা ‘প্রাকৃতপৈঙ্গল’ সংকলিত হয়েছিল। ১২০০ সাল থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত সময়কালকে অন্ধকারযুগ বলা হয়, যদিও এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। অন্ধকার যুগ বলার কারন কি?– এই সময়ে বাংলা সাহিত্যের কোন নিদর্শন পাওয়া যায় নি, তাই এই ১৫০ বছরকে বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বলা হয়।
Read Moreমনসামঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
প্রশ্ন: মনসামঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি কে? ক) বিজয়গুপ্ত খ) কানাহরিদত্ত গ) ময়ূরভট্টময়ূরভট্ট ঘ) মানিকদত্ত উত্তর: ক) বিজয়গুপ্ত কবি বিজয় গুপ্ত মধ্যযগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ট কবি। মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি বিজয় গুপ্তের জন্মস্থান: বরিশাল জেলার বর্তমান গৈলা গ্রামে এবং প্রাচীন নাম ফুলশ্রী।তাঁর পিতার নাম সনাতন এবং মাতার নাম রুক্মিণী। তিনি তার মনসা মঙ্গলকাব্যের নামকরণ করেন ‘পদ্মপুরাণ’। মনসা মঙ্গলকাব্যের ৫ জন উল্লেখযোগ্য কবি হলো: ১. কানা হরিদত্ত, ২. বিজয়গুপ্ত, ৩. নারায়ন দত্ত, ৪. বিপ্রদাস পিপিলাই, ৫. কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ।
Read Moreকত নং পদে ভুসুকুপা নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন?
প্রশ্ন: কত নং পদে ভুসুকুপা নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন? ক) ৪৬ নং খ) ৪৮ নং গ) ৪৯ নং ঘ) ৫০ নং উত্তর: গ) ৪৯ নং ভুসুকুপা হলেন অন্যতম প্রাচীন বাঙালি কবি। চর্যাপদে ভুসুকুপা রচিত পদের সংখ্যা ৮টি। তিনি ভিনদেশী হয়েও বাংলায় কবিতা লিখেছিলেন। তিনি তার ৪৯ নং পদে বলেছেন “আজি ভুসুক বাঙ্গালী ভইলী”।
Read Moreকাকে প্রাচীনতম মহিলা কবি বলে ধারণা করা হয়?
প্রশ্ন: কাকে প্রাচীনতম মহিলা কবি বলে ধারণা করা হয়? ক) কুক্কুরীপা খ) চন্দ্রাবতী গ) ফুল্লুরা ঘ) রাধা উত্তর: খ) চন্দ্রাবতী চন্দ্রাবতী বাংলাদেশের প্রথম নারী কবি। তিনি আনুমানিক ১৫৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম বংশীদাস ভট্টাচার্য এবং মাতার নাম সুলোচনা বা অঞ্জনা। কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে পাতুয়াইর গ্রামে তার বাড়ি। চন্দ্রাবতীর রচিত কাব্যগুলো: মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা ও রামায়ণ(অসমাপ্ত)।
Read Moreচর্যাপদের প্রাপ্ত পদসংখ্যা কয়টি?
প্রশ্ন: চর্যাপদের প্রাপ্ত পদসংখ্যা কয়টি? ক) ৫০টি খ) ৫১টি গ) ৪৬.৫ টি ঘ) ৪৬.৬ টি উত্তর: গ) ৪৬.৫ টি চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদে মোট ৫০টি পদ রয়েছে এবং সুকুমার সেনের মতে ৫১ টি। তবে সর্বমোট সাড়ে ৪৬টি পদ পাওয়া গেছে। ২৩নং পদটি খন্ডিত আকারে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৪, ২৫ এবং ৪৮ নং পদগুলো পাওয়া যায়নি। চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে ১৯০৭ সালে (বাংলা ১৩১৪)। চর্যাপদের অন্য নাম চর্যাগীতিকোষ বা দোহাকোষ। চর্যাপদ এক প্রকার গান ও কবিতা।চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের কাব্য নিদর্শন।
Read More