বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা জীবের নামকরণের জন্য একটি সাধারণ ব্যবস্থা ব্যবহার করেন, এই ব্যবস্থাটি দ্বিপদী নামকরণ হিসাবে পরিচিত। এই দ্বিপদ নামকরণ ব্যবস্থায় দুটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশটি গণ এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি। জেনাস নাম এবং প্রজাতির নাম হিসাবে পরিচিত। যেমন: মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens. একত্রে জীবের জেনোসের নাম ও প্রজাতির নামকে বৈজ্ঞানিক নাম বলা হয়। বৈজ্ঞানিক নাম ইংরেজি ও ল্যাটিন ভাষায় লিখা হয়। সুতরাং, দ্বিপদ নামকরণ এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীব এবং অন্যান্য জীবন্ত প্রাণীদের সহ পৃথক পৃথক বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়। এই বৈজ্ঞানিক নামগুলি অনন্য এবং বিশ্বের…
Read MoreDay: April 9, 2020
বৈজ্ঞানিক নাম কি/ বৈজ্ঞানিক নাম বলতে কি বুঝায়?
আন্তর্জাতিকভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনে জীব/প্রাণীর নাম নির্ধারণ করাকেই বৈজ্ঞানিক নাম বলে। অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক নামের মাধ্যমে আমরা এই বিশ্বের সকল প্রাণীকুলকে খুব সহজেই জানতে পারি। বৈজ্ঞানিক নাম অবশ্যই ইংরেজি অথবা ল্যাটিন ভাষায় লিখতে হয়। বৈজ্ঞানিক নামের ২টি অংশ থাকে; প্রথমটি গণ এবং দ্বিতীয়টি প্রজাতি। আবার বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশটির প্রথম অক্ষর বড় হাতের হবে এবং বাকিগুলা ছোট অক্ষরের হবে। দ্বিতীয় অংশটির সকল অক্ষরগুলো ছোট হাতের হবে যেমন: মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হলো: Homo sapiens. এই বৈজ্ঞানিক নামটিতে প্রথম শব্দটির প্রথম অক্ষর বড় হাতের এবং বাকিগুলো ছোট হাতের অক্ষর এবং দ্বিতীয় শব্দটির…
Read Moreশ্রেণিবিন্যাস কি/ শ্রেণীবিন্যাস কাকে বলে?
বিশাল এই জীবজগতকে চেনা বা জানার জন্য এদের বৈশিষ্ট্য উপর নির্ভর করে বিভিন্ন স্তর বা ধাপে সাজানো বা বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকেই বলা হয় শ্রেণিবিন্যাস। শ্রেণিবিন্যাসের জনক হলেন প্রকৃতি বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস। অর্থাৎ শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা হলো বিজ্ঞানের বিভিন্ন সদস্যদের যথাক্রমে সনাক্তকরণ ও তাদেরকে চেনের জন্য বিভিন্ন নামে বা দলে/স্তরে/ধাপে সাজিয়ে নেওয়া। শ্রেণীবিন্যাস করার মূল লক্ষ্য বা কারণ হলো এই বিশাল বিশ্বের জীবজগৎকে খুব সহজেই ভালোভাবে জানা ও বুঝা। শ্রেণীবিন্যাস করার ফলেই আমরা আজকে খুব সহজেই বলে দিতে পারছি কোনটি কোন প্রজাতির প্রানী এবং কোন প্রাণীটি কোন গোত্রের। শ্রেণিবিন্যাস আমাদেরকে আরো সহজ করে…
Read Moreইউরোকর্ডাটা কি? ইউরোকর্ডাটা প্রাণীর বৈশিষ্ট্যগুলো?
কর্ডাটা পর্বের একটি উপপর্বে হলো ইউরোকর্ডাটা। ইউরোকর্ডাটা পর্বের প্রাণীগুলোকে ইউরোকর্ডেটসও বলা হয়। ইউরোকর্ডাটা পর্বের পাণীগুলোর বৈশিষ্ট্য: প্রাথমিক অবস্থায় এদের ফুলকারন্ধ্র থাকে। পৃষ্ঠীয় ফাঁকা মেরুরজ্জু থাকে। শুধুমাত্র লার্ভা দশায় এদের লেজে নটোকর্ড থাকে। এদের মধ্যে করোটি, কশেরুকা এবং পদ অনুপস্থিত। ইউরোকর্ডাটার একটি উদাহরন হলোঃ অ্যাসিডিয়া।
Read Moreস্তন্যপায়ী প্রাণী কাকে বলে? স্তন্যপায়ী প্রাণীর বৈশিষ্ট্যগুলো কি?
যেসকল প্রাণী মাতৃপ্রানীর স্তন্যদুগ্ধ পান করে জীবনধাণ করে থাকে ঐসব প্রানীকেই স্তন্যপায়ী প্রাণী বলে অবহিত করা হয়। স্তন্যপায়ী প্রাণী কর্ডাটা পর্বের অন্তর্গত এবং Mammalia/ম্যামালিয়া শ্রেণীর অন্তর্গত উন্নত গঠনের মেরুদণ্ডী প্রাণী। Mammal/ম্যামল শব্দটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার করেন ক্যারোলাস লিনিয়াস। কিছু স্তন্যপায়ী প্রানীর নামঃ নীল তিমি হাতি বানর বাদুড় বাগডাশ ভোঁদড় কাঠবিড়ালী বেজী লজ্জাবতী বানর ভল্লুক বুনোশূকর স্তন্যপায়ী প্রাণীর বৈশিষ্ট্যসমূহ: স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দেহে লোম দ্বারা আবৃত থাকে। কিছু ব্যতিক্রমি স্তন্যপায়ী প্রাণী ছাড়া এরা সবাই সন্তান প্রসব করে থাকে। শিশুরা সাধারণত মাতৃদুগ্ধ পান করে বড় হয়। এ পর্বের প্রাণীগুলো উষ্ণ রক্তের হয়ে থাকে।…
Read Moreআর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী সমূহ জেনে নিন?
আর্থ্রোপোডা পর্বটি প্রাণিজগতের সবচেয়ে বৃহত্তম পর্ব। এই পর্বের প্রাণিগুলো পৃথিবীর প্রায় সকল পরিবেশে বসবাস করতে সক্ষম। এতর মধ্যে বহু প্রজাতি আবার অন্তঃপরজীবী ও বহিঃপরজীবী হিসেবে বসবাস করে। এ পর্বের প্রানিসমূহ সাধারণত জলে(স্বাদু পানি এবং সমুদ্র) ও স্থলে বসবাস করে। আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীসমূহের নামঃ প্রজাপতি চিংড়ি আরশোলা মৌমাছি মশা কাঁকড়া আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীসমূহের কয়েকটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য: এদের দেহের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ থাকে। এদের মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা বিদ্যমান থাকে। দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর হিমোসিল নামে পরিচিত। এদের দেহ নরম কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে।
Read Moreচিংড়ি মাছ কোন পর্বের প্রাণী? চিংড়ি এর বৈশিষ্ট্য?
চিংড়ি আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণী। আর্থ্রোপোডা পর্বটি প্রাণিজগতের সবচেয়ে বৃহত্তম পর্ব। চিংড়ি হলো আর্থ্রোপোডা পর্বের ম্যালাকোস্ট্রাকা ক্লাসের অমেরুদণ্ডী প্রানী। চিংড়ি মাছ নাকি পোকা তা নিয়েও অনেক মতাবাদ রয়েছে। চিংড়ির বৈশিষ্ট্য সমূহঃ দেহে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান। নরম দেহে কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে। এদের মাথায় এক জোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। এদের দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর হিমোসিল নামে পরিচিত। চিংড়ির মধ্যে বাগদা ও গলদা খুব বিখ্যাত। চিংড়ি মাছ নাকি পোকা? সাধারণত আমরা চিংড়িকে মাছ এবং পোকা বলে থাকি। চিংড়িকে মাছ বলা হয় না যে সকল কারনে তা…
Read More