অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন কি? নিবন্ধন করা কি বাধ্যতামূলক?

অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন কি নিবন্ধন করা কি বাধ্যতামূলক

সরকার কর্তৃক নিবন্ধন অফিসে অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকাভুক্ত করাকেই অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন বলা হয়। অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়নি। তবে নিবন্ধিত অংশীদারি ব্যবসায় অনিবন্ধিত অংশীদারি ব্যবসায় থেকে বেশি সুবিধা ভোগ করে। 

১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৫৮ এবং ৫৯ ধারাং অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন সম্পর্কে বলা হয়েছে। আর অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন বলতে অংশীদারদের চুক্তিপত্রের নিবন্ধনকেই বুঝায়। সাধারণ অংশীদারি বা ব্যাংকিং অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়। তবে সীমিত অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।

অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধন কারার সুবিধা: 

  • নিবন্ধিত অংশীদার তৃতীয় পক্ষের বিরূদ্ধে পাওনা আদায়ের জন্য মামলা করতে পারে।
  • যে কোনো অংশীদার অপর অংশীদার বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চুক্তিজনিত অধিকার আদায়ের জন্য মামলা করতে পারে।

অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন না করার ফলাফল কি?

  • তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে ১০০ টাকার বেশি পাওনা আদায়ের জন্য মামলা করতে পারে না।
  • কোনো অংশীদার বা তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে চুক্তিজনিত কোনো অধিকার আদায়ের জন্য মামলা করতে পারে না।
  • ৩য় কোনো পক্ষ যদি অনিবন্ধিত অংশীদার বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে, তাহলে অনিবন্ধিত অংশীদারি ব্যবসায় বাদিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে না।

অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধনের সময় আবেদন পত্রে যে বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হয়:

  • অংশীদারি ব্যবসায়ের নাম ও ঠিকানা
  • শাখা অফিসের ঠিকানা (থাকলে)
  • ব্যবসায়ের শুরুর সময়কাল বা কার্যকাল
  • অংশীদারি ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য
  • সকল অংশীদারের নাম, ঠিকানা ও পেশা
  • অংশীদার হিসাবে প্রতিষ্ঠানে যোগদানের তরিখ
  • অংশীদারি ব্যবসায়ের মেয়াদ সংক্রন্ত তথ্য (থাকলে)

Related posts

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.