পরিবেশ হলো এমন একটি জিনিস যা আমাদের পারিপাশ্বিকত তৈরি করে এবং পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য আমাদেরকে ক্ষমতা প্রদান করে। যদি এক কথায় বলি তাহলে, আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা সব মিলিয়েই তৈরি হয়ে আমাদের পরিবেশ। অর্থাৎ আমাদের চারপাশের গাছপালা, পশুপাখি, জীবজন্তু, মাটি, পানি, বায়ু, সূর্যের আলো, বন্ধুবান্ধব এসব কিছু মিলিয়েই তৈরি হয় পরিবেশ। আমাদের পরিবেশের প্রধান তিনটি উপাদন হচ্ছে —মাটি, পানি ও বায়ু। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। উপাদান অনুযায়ী পরিবেশকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যথাঃ প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের তৈরি পরিবেশ ১. প্রাকৃতিক পরিবেশঃ…
Read MoreDay: October 7, 2020
আদি স্বরাগম কাকে বলে? আদি স্বরাগম এর উদাহরণ?
শব্দের প্রথমে বা আদিতে স্বরধ্বনি আসলে অর্থাৎ উচ্চারণ সহজ ও সরল করার জন্য যখন কোনো শব্দের আদিতে স্বরধ্বনি আসে তাকে আদি স্বরাগম বলে। সহজ ভাষায়, শব্দের শুরুতে স্বরধ্বনি আসলে তাকে বলা হয় আদি স্বরাগম। আদি স্বরাগম এর উদাহরণঃ স্টেশন > ইস্টিশন (এখানে স্টেশনের আগে “ই” স্বরধ্বনি আসছে) স্পর্ধা > আস্পর্ধা (এখানে স্পর্ধার আগে “আ” স্বরধ্বনি আসছে) স্টেট > এস্টেট (এখানে স্টেট এর আগে “এ” স্বরধ্বনি আসছে) স্তাবল > আস্তাবল (এখানে স্তাবলের আগে “আ” স্বরধ্বনি আসছে) স্কুল > ইস্কুল (এখানে স্কুলের আদিতে/আগে “ই” স্বরধ্বনি আসছে)
Read Moreমধ্য স্বরাগম কাকে বলে? মধ্য স্বরাগমের অপর নাম কি?
কখনো কখনো শব্দের মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে তাকে মধ্য স্বরাগম বলে। অর্থাৎ মধ্য স্বরাগমের ক্ষেত্রে শব্দের মাঝখানে বা মধ্যে স্বরধ্বনি আসবে। মধ্য স্বরাগমের অপর নাম হলোঃ বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি। মধ্য স্বরাগম এর উদাহরণঃ রত্ন > রতন (‘রত্ন’=(র+অ+ত+ন+অ) এবং ‘রতন’=(র+অ+ত+অ+ন+অ) অর্থাৎ ত+ন এর জায়গায় ত+অ যোগ হয়ে তন হয়েছে। ধর্ম > ধরম, স্বপ্ন > স্বপন, হর্ষ > হরষ। প্রীতি > পিরীতি, ক্লিপ > কিলিপ, ফিল্ম > ফিলিম। মুক্তা > মুকুতা, তুর্ক > তুরুক, ভ্রূ > ভুরু। গ্রাম > গেরাম, প্রেক > পেরেক, স্রেফ > সেরেফ। শ্লোক > শোলোক, মুরগ > মুরোগ >…
Read Moreঅন্ত্যস্বরাগম কাকে বলে? অন্ত্য স্বরাগম এর উদাহরণ?
যখন শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি আসে তখন তাকে অন্ত্যস্বরাগম বলে। অর্থাৎ অন্ত্যস্বরাগম এর ক্ষেত্রে শব্দের শেষে স্বরধ্বনি আসবে। অন্ত্যস্বরাগম এর উদাহরণঃ দিশ্ > দিশা (এখানে দিশ্= দ+ই+শ এবং দিশা= দ+ই+শ+আ, অর্থাৎ দিশ্ শব্দটির শেষে আ স্বরধ্বনি যোগ হয়ে দিশা হয়েছে) সত্য > সত্যি বেঞ্চ > বেঞ্চি পোখত্ > পোক্ত
Read Moreঅপিনিহিতি কাকে বলে? অপিনিহিতি এর উদাহরণ দাও?
পরের ‘ই’ কার আগে উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে। অর্থাৎ পরের ‘ই’ বা ‘উ’ স্বরধ্বনি যদি আগে উচ্চারিত হয় অথবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ‘ই’ বা ‘উ’ স্বরধ্বনি উচ্চারিত হলে তাকেই অপিনিহিতি বলা হয়। অপিনিহিতি এর উদাহরণঃ আজি > আইজ, কালি > কাইল সাধু > সাউধ, আশু > আউস রাখিয়া > রাইখা, বাক্য > বাইক্য সত্য > সইত্য, চারি > চাইর মারি > মাইর, লক্ষ > লইক্ষ কন্যা > কিইন্যা
Read Moreঅসমীকরণ কাকে বলে? অসমীকরণের উদাহরণ কি?
দু্ইটি একই ধ্বনির পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য মাঝখানে যখন একটি বাড়তি স্বরধ্বনি যুক্ত হয় তখন তাকে অসমীকরণ বলে। অর্থাৎ একই ধ্বনি পাশাপাশি উচ্চারণের সময় অনেক সময় মাঝখানে একটি স্বরধ্বনি যুক্ত হয় আর এটাকেই বলা হয় অসমীকরণ। অসমীকরণের উদাহরণঃ টপ+টপ > টপাটপ (এখনে মাঝখানে একটি বাড়তি আ স্বরধ্বনি যোগ হয়েছে) ধপ+ধপ > ধপাধপ (এখনেও মাঝখানে একটি বাড়তি আ স্বরধ্বনি যোগ হয়েছে) ফট+ফট > ফটাফট
Read Moreস্বরসঙ্গতি কাকে বলে? স্বরসঙ্গতির উদাহরণ দাও?
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবের ফলে শব্দের অপর স্বরের যে পরিবর্তন হয় তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। অর্থাৎ দুইটি স্বরধ্বনির মধ্যে সঙ্গতি রক্ষার জন্য একটির প্রভাবে আরেকটি পরিবর্তিত হলে তখন তাকে স্বরসঙ্গতি বলি। স্বরসঙ্গতির উদাহরণঃ দেশি > দিশি( এখান দেশি= দে+এ+শ+ই, দিশি= দ+ই+শ+ই)—‘ই’-র প্রভাবে ‘এ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ই’ হয়েছে। মুলা > মুলো স্বরসঙ্গতি আবার ৫ প্রকারঃ প্রগত পরাগত মধ্যগত অন্যোন্য চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি ১. প্রগতঃ পূর্বের বা আগের স্বরধ্বনি অনুযায়ী পরের স্বরধ্বনি পরিবর্তিত হলে এটাকে প্রগত স্বরসঙ্গতি বলা হয়। যেমন: তুলা > তুলো, মুলা > মুলো, শিকা > শিকে। ২. পরাগতঃ এটা ঠিক প্রগত…
Read More