বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনকে তিন জন ব্রিগেড অধিনায়কের(মেজর খালেদ মোশাররফ,মেজর কে এম সফিউল্লাহ, মেজর জিয়াউর রহমান) আওতায় যে তিনটি ফোর্সে বিভক্ত করা হয় তাকে ব্রিগেড ফোর্স বলে। তিনটি ব্রিগেড ফোর্সের নাম: ‘কে’ ফোর্স –নেতৃত্ব দেন মেজর খালেদ মোশাররফ ‘এস’ ফোর্স — নেতৃত্ব দেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ ‘জেড’ ফোর্স — নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউর রহমান
Read MoreMonth: August 2020
বধ্যভূমি কি/ বধ্যভূমি কাকে বলে?
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে একসাথে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হতো বা গণকবর দেওয়া হতো, সে সকল গণ কবরকে বধ্যভূমি বলা হয়। সুতরাং, বধ্যভূমি হলো এমন একটি স্থান যেখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের একাতারে গণকরব বা মাটিচাপা দিয়ে রাখা হতো। কিছু বধ্যভূমির নাম হলো: ঢাকার রায়ের বাজারের বধ্যভূমি ঢাকার মুসলিম বাজার বধ্যভূমি হরিরামপুর বধ্যভুমি, হরিরামপুর ঢাকা লালখান বাজার গাছের নীচ বধ্যভূমি চট্টগ্রাম জেনারেল পোষ্ট অফিস বধ্যভূমি সার্কিট হাউজ বধ্যভূমি জেলে পাড়া বধ্যভূমি পশ্চিম রামপুর বধ্যভূমি শ্রীমঙ্গল বধ্যভূমি ৭১, মৌলভীবাজার আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি এগুলো ছাড়ও দেশের বিভিন্ন স্থানে…
Read Moreঅনিয়মিত বাহিনী কি/অনিয়মিত বাহিনী কাকে বলে?
অনিয়মিত বাহিনীকে গণ বাহিনী বলেও অভিহিত করা হয়, ছাত্র, যুকব, শ্রমিক, কৃষক ও সকল পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন সেক্টরের অধীনে অনিয়মিত বাহিনী গঠিত হয়। এ বাহিনীর সরকারী নামকরণ করা হয় ‘গণবাহিনী’ বা এফ. এম.(ফ্রিডম ফাইটার বা মুক্তিযোদ্ধা)। পাকিস্তান হানাদারদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবার জন্য মুক্তিবাহিনীর একটি শাখা হিসেবে অনিয়মিত বাহিনী গঠিত হয়। বেসামরিক সর্বস্তরের জনগণ নিয়ে গড়ে উঠেছিল অনিয়মিত বাহিনী। এ বাহিনীর মূল উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের ভেতরে পাকিস্তানী আর্মির বিরুদ্ধে গেরিলা কায়দায় আক্রমণ করে তাদের ক্ষতিসাধন করা।
Read Moreনিয়মিত বাহিনী কাকে বলে/নিয়মিত বাহিনী কি?
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট(EBR)এর ইউনিটগুলোর বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে যে বাহিনী গঠন করা হয়েছিল তাকেই নিয়মিত বাহিনী বলে। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ সরকার নিয়মিত বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনীও গড়ে তোলে। সরকারিভাবে এদের নামকরণ করা হয় এম. এফ.(মুক্তিফৌজ)।
Read Moreমুক্তিফৌজ কাকে বলে/মুক্তিফৌজ কি?
মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধরত বাহিনীর একটি বড় অংশ ছিল নিয়মিত বাহিনীর যোদ্ধারা। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইউনিটগুলোর বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে এই বাহিনী গঠিত হয়। যেখানে বাঙালি সামরিক অফিসার ও সৈন্যদের নিয়ে গঠিত ছিল মুক্তিবাহিনীর নিয়মিত বাহিনী। এদের বলা হতো মুক্তিফৌজ। এদেরকে সেনাবাহিনীর বিধিবিধান ও নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। সুতরাং, নিয়মিত যোদ্ধাকে নিয়ে গঠিত বাহিনীকে বলা হয় মুক্তিফৌজ। সরকারিভাবে এদের নামকরণ করা হয় এম. এফ.(মুক্তিফৌজ)।
Read Moreযৌথ বাহিনী কি/ যৌথ বাহিনী কাকে বলে?
মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাহিনীকে যৌথ বাহিনী বলে। পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর সুদৃঢ় আক্রমণের জন্য ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথ বাহিনী গঠন করে। যৌথ বাহিনী গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকবাহিনীকে পরাস্থ করা। যৌথবাহিনীর আক্রমণের ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শত্রুমুক্ত হয়েছিল। যৌথ বাহিনীর তীব্র আক্রমণের দরুন ৯৩ হাজার পাকসেনা নিঃশর্তে যৌথ কমান্ডের নিকট আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। ১৬ই ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর প্রধানের নিকট পাকিস্তান বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি। যৌথ বাহিনীর কমান্ডার জগজিৎ সিং আরোরার…
Read Moreঅপারেশন জ্যাকপট কি/ অপারেশন জ্যাকপট কাকে বলে?
অপারেশন জ্যাকপট কি? অপারেশন জ্যাকপট একটি বাংলাদেশী নৌ কমান্ডো অপারেশন ছিল, অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা নৌকমান্ডো বাহিনী দ্বারা পরিচালিত অভিযানকে অপারেশন জ্যাকপট বলে। ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট রাত ১২টার পর অর্থা] ১৬ আগস্ট, অপারেশন জ্যাকপট একইসাথে মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জের নদী বন্দরে পরিচালিত হয়েছিল। অপারেশন জ্যাকপট পরিচালিত হয়েছিল ১০ নম্বর সেক্টরের অধীনে ট্রেনিং প্রাপ্ত নৌকমান্ডে যোদ্ধাদের দ্বারা। ১০ নং সেক্টরটি গঠিত হয় বাংলাদেশের জলপথ নিয়ে অর্থাৎ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, নদী ও সমুদ্রবন্দর। এ অপারেশনের উদ্দেশ্য ছিল নদীমাতৃক বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্রপথে পাকিস্তানের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া।…
Read Moreঅপারেশন সার্চলাইট কি/অপারেশন সার্চলাইট কাকে বলে?
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ওপর যে গণহত্যা অভিযান চালিয়েছিল তাকেই অপারেশন সার্চলাইট বলা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। হত্যা করে বহু মানুষকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আক্রমণ করে হত্যা করেছিলো অনেক ছাত্র ও শিক্ষককে। এ রাতেই শুধু ঢাকায় ৭ থেকে ৮ হাজার মানুষ হত্যা করেছিল। এ রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ করে যথা: পুরান ঢাকা, কচুক্ষেত, তেজগাঁও, ইন্দিরা রোড, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা বিমানবন্দর, রায়ের বাজার, ধানমন্ডি, কলাবাগান প্রভৃতি স্থানে। ২৫শে মার্চ রাতের গণহত্যার ঘটনাকেই ইতিহাসে অপারেশন…
Read Moreমিত্রবাহিনী কি বা মিত্রবাহিনী কাকে বলে?
মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে মুক্তিবাহিনীর সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীই মিত্রবাহিনী। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতীয় সহায়তাকারী বাহিনীকেই মিত্রবাহিনী বলা হয়। ১৯৭১ সালে ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠন করা হয় যৌথবাহিনী।
Read MoreNAP এর পূর্ণরূপ কি? ন্যাপ(NAP) এর পূর্ণরুপ কি?
NAP এর পূর্ণরূপ হলো — ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (National Awami Party). মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ১৯৫৭ সালের জুলাই মাসে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে। NAP এর আরো কিছু পূর্ণরূপ নিম্নরুপ: Network Access Protection(Microsoft) National Academy Press Network Access Point Not A Problem Network Available Program Native American Pride Nuclear Aggregates of Polyamines Network Administration Processor Naval Advisory Panel Non-Airborne Personnel
Read More