ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের চত্বরে অবস্থিত গ্রিক সমাধি সৌধটিকে ডরিক রীতি অনুসৃত হয়। এ সমাধিসৌধটি আনুমানিক ১৮০০-১৮৪০ সালের মধ্যে এটি তৈরী করা হয়েছিল। বর্গাকার এবং সমতল ছাদ-যুক্ত এ স্থাপনায় প্রাচীন গ্রিসের ডরিক রীতি অনুসরণ করা হয়েছিল।
Read MoreMonth: August 2020
প্রত্নসম্পদ কি/ প্রত্নসম্পদ কাকে বলে?
যেসকল জিনিস বা নিদর্শন দেখার মাধ্যমে দেশের পুরানো ইতিহাস ও ঐতিহ্য বা পূর্বপুরুষদের জীবনযাপন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়, সেসব নিদর্শনকে প্রত্নসম্পদ বলে। বাংলাদেশের জাদুঘরে স্থান পেয়েছে বাংলার নবাব, জমিদার ও ইংরেজ শাসনামলের বেশ কিছু প্রত্নসম্পদ। দিনাজপুরের মহারাজার ব্যবহার করা দ্রব্য ও হাতির দাঁতের কারুকাজ করা শিল্পদ্রব্য। বলধার জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরীর সংগ্রহ থেকে আনা পোশাক, হাতির দাঁতের নানা কারুকাজ, ঢাল তলোয়ার। আরো অনেক প্রত্ননিদর্শ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। তাছাড়াও ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে রয়েছে চমৎকার সব স্থাপত্যশৈলী। যেমন: আর্মেনিয়াম গির্জা, আহসান মঞ্জিল, পুরেনো ঢাকার রুপলাল হাউস এবং রোজ…
Read Moreপ্রত্নতত্ব কি | প্রত্নতত্ব কাকে বলে | প্রত্নতত্বের গুরুত্ব?
প্রত্নতত্ব হলো অতীত মানবজীবন এবং তাদের ক্রিয়াকলাপের অধ্যয়ন। আপনি প্রত্নতত্বকে এভাবেও বলতে পারেন; এটি মূলত অতীত মানব আচরণের উপাদান বা মানুষ তৈরি বা ব্যবহৃত এবং অতীতের ফেলে রাখা জিনিসগুলি যা বিলুপ্তপ্রায় সে সংস্কৃতি পুনর্গঠন করা। ’প্রত্ন’ শব্দের অর্থ হলো পুরনো বা প্রাচীন। ‘তত্ব’ হলো – আসল বস্তু বা প্রকৃত অবস্থা। প্রত্নতত্বের মধ্যে রয়েছে প্রাচীন স্থাপত্য ও শিল্পকর্ম, মুর্তি বা ভাস্কর্য, অলঙ্কার, প্রাচীন আমলের মুদ্রা, পুরনো মূল্যবান আসবাবপত্র ইত্যাদি। আরো সহজে প্রত্নতত্বকে সংজ্ঞায়িত করলে আমরা বলতে পারি, প্রত্নতত্ব এমন এক বিদ্যা যা অতীত যুগের মানুষের ব্যবহার্য দ্রব্যসামগ্রীর ধ্বংষাবশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সে…
Read Moreসংস্কৃতি কি | সংস্কৃতি বলতে কি বুঝ? সংস্কৃতির গুরুত্ব জেনে নিন?
সংস্কৃতি হলো মানুষের জীবনযাপন, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, ভাষা পদ্ধতি, যোগাযোগ এবং আচর-আচরণ, এ সবগুলোর সমষ্ঠিকে সংস্কৃতি বলা হয়। যদিও সংস্কৃতি একটি জটিল ধারণা, তবে এটি সচেতনভাবে এবং অবচেতনভাবে উভয়ভাবেই আমাদের জীবনের প্রতিটি দিককেই প্রভাবিত করে। আরো সহজভাবে সংস্কৃতির সংজ্ঞা হলো কোনও জাতি বা গোষ্ঠির চিন্তাভাবনা, আচরণগত দিকনিদর্শ, পোশাক, ভাষা, খাদ্য, ধর্ম,সংগীত, অঞ্চল বা ভূগোল ইত্যাদির সমষ্ঠি। সংস্কৃতিকে মানুষের জীবনযাত্রার রূপ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। যেমন: কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের লোকেরা কীভাবে চিন্তা করে, কীভাবে তারা কাজ করে, তাদের আচার-আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি, পোশাক, তাদের কথা বা ভাষা, তাদের ধর্মীয় ক্রিয়াকালাপ, সংগীত, সাহিত্য…
Read Moreটেরাকোটা কি/ টেরাকোটা বলতে কি বুঝায়? টেরাকোটা অর্থ কি?
টেরাকোটা অর্থ হলো; ‘টেরা’ অর্থ হলো মাটি, আর ‘কোটা’ অর্থ হলো পোড়ানো। অর্থাৎ পোড়ামাটির শিল্পকে টেরাকোটা বলা হয়। মাটির ফলক বা পাত বানিয়ে তাতে ছবি বা নকশা খোদাই করে আগুনে পুড়িয়ে স্থায়ী রুপ দেওয়াকেই বলা হয় টেরাকোটা বা পোড়ামাটির শিল্প। টেরাকোটা বাংলার হাজার বছরের অনেক পুরোনো শিল্প। টেরাকোটার অনেক কাজ রয়েছে; শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, বৌদ্ধ স্তূপ, ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে। মাটির সহজলভ্যতার কারনে আমাদের দেশের মানুষ মাটির শিল্পের চর্চা প্রাচীনকল থেকে করে আসছে। টেরাকোটা সাংসরিক ও অন্যান কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়। যেমন: মাটির ফলক, পুতুল, কলসি-হাঁড়ি ইত্যাদি…
Read Moreসাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি কি/ সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি কাকে বলে?
সাংস্কৃতিক ব্যপ্তি বলতে সমাজের প্রধান উপাদান(ভাষা, মূল্যবোধ, চিন্তাচেতনা, রীতিনীতি ইত্যাদি) এক সমাজ থেকে আরেক সমাজে সংস্কৃতির প্রসার লাভ করা। অর্থাৎ কোনো সংস্কৃতি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রসার লাভ করাই হলো সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি। সাংস্কৃতিক সংমিশ্রণের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি বা প্রসার ঘটে থাকে। বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে খুব সহজেই আমরা অন্যান্য সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারছি যার ফলে অন্যান্য সংস্কৃতির কিছু অংশ আমাদের সংস্কৃতিতে প্রসার হচ্ছে বা প্রভাবিত হচ্ছে। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বায়নের কল্যাণে বর্তমানে পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলে আসছে যার ফলে যে কেউ চাইলেই অন্যান্য সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে…
Read Moreসাংস্কৃতিক আত্তীকরণ কেন ঘটে/ সাংস্কৃতিক আত্তীকরণ কি?
আত্তীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে লোকেরা যখন অন্য কোনও সমাজ বা সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসে এবং তাদের পোশাক, কথা বলার ধরণ, জীবনব্যবস্থা ইত্যাদি আয়ত্ত করে থাকে। আত্তীকরণের প্রক্রিয়াটি এমন কিছু যা স্বেচ্ছায় সম্পন্ন হয়। বিশেষত সাংস্কৃতিক আত্তীকরণ হতে পারে একটি নতুন দেশে চলে যাওয়া এবং সেখানে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর জন্য, সেখানকার স্থানীয় ফ্যাশন প্রবণতা এবং বাদ্যযন্ত্র, সাংস্কৃতিক নিয়ম এবং দৃষ্টিভঙ্গি এবং / অথবা শারীরিক ভাষা অভ্যাস এবং প্রতিদিনের রীতিনীতি ইত্যাদি গ্রহণ করর বা তাদের অনুসরণ করা। অর্থাৎ সময়ের সাথে সাথে ক্রমশ একই মনোভাব, মূল্যবোধ, সংবেদন, আগ্রহ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং লক্ষ্যগুলি আয়ত্ত…
Read Moreচর্যাপদের কাল নির্ণয় করেন কে?
চর্যাপদের কাল নির্ণয় করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এর রচিত Buddhist Mystic Songs(১৯৬০) গ্রন্থটি চর্যাপদের অনুবাদ ও সম্পাদনা কর্ম। প্রথমবারের মতো তিনিই প্রমাণ করেন যে চর্যাপদ সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় রচিত। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভারতীয় উপমহাদেশের একজন বাঙালি ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ ছিলেন। তিনি ১০ জুলাই ১৮৮৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের চবিবশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এর বইসমূহ: বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত বাঙ্গালা ব্যাকরণ মধ্য বাংলা ব্যাকরণ Buddhist Mystic Songs রকমারি বাংলা সাহিত্যের কথা ১ম খণ্ড বাংলা সাহিত্যের কথা…
Read Moreসাংস্কৃতায়ন কি/সাংস্কৃতায়ন কাকে বলে?
অন্য সংস্কৃতির ধারা নিজ সংস্কৃতিতে আয়ত্ব করাকে সাংস্কৃতায়ন বলে। অর্থাৎ সাংস্কৃতায়ন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী একটি সংস্কৃতির নির্দিষ্ট মূল্যবোধ এবং রীতিগুলি গ্রহণ করে যা মূলত তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি নয়। সাংস্কৃতায়ন শব্দটিকে আরো ভালোভাবে জানতে প্রথমে সংস্কৃতি কি জেনে নেই, সংস্কৃতি মানেই জীবনযাপনের উপায় বা জীবনযাপন পদ্ধতি। সংস্কৃতি মানে এমন কিছু উপায় এবং কারণ রয়েছে যার মধ্যে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লোকেরা কিভাবে কথা বলে, কিভাবে নিজেকে পরিচালনা করে, কিভাবে ছুটি উদযাপন করে এবং কিভাবে তাদের বিশ্বাস ব্যবস্থা প্রকাশ করে। বিশ্বজুড়ে সংস্কৃতির এক বিস্ময়কর বৈচিত্র রয়েছে।…
Read Moreসামাজিক উন্নয়ন কি/সামাজিক উন্নয়ন কাকে বলে?
সামাজিক উন্নয়ন হলো সমাজের জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন। অর্থাৎ জীবনমান,শিক্ষার হার এবং শ্রমিকের স্তরের উন্নতি করা। সহজ ভাষায়, সামাজিক উন্নয়ন হলো সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির কল্যাণকে উন্নত করা যাতে তারা তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছতে পারে। সমাজের সাফল্য প্রতিটি নাগরিকের কল্যাণের সাথে যুক্ত। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করার লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগে বিনিয়োগ করে আমরা আমাদের নাগরিকদের মধ্যে বৃহত্তর সাফল্য নিশ্চিত করতে পারি। বর্তমানে আমাদের দেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক দিক দিয়েও অনেক সাফল্য পেয়েছে। দ্রারিদ্র বিমোচন, নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, মাতৃ ও শিশু মুত্যু হার হ্রাস, বৈষ্যম দূরীকরণ, গড় আয় বৃদ্ধি ইত্যাদি…
Read More