সামাজিক উন্নয়ন হলো সমাজের জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন। অর্থাৎ জীবনমান,শিক্ষার হার এবং শ্রমিকের স্তরের উন্নতি করা। সহজ ভাষায়, সামাজিক উন্নয়ন হলো সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির কল্যাণকে উন্নত করা যাতে তারা তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছতে পারে। সমাজের সাফল্য প্রতিটি নাগরিকের কল্যাণের সাথে যুক্ত। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করার লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগে বিনিয়োগ করে আমরা আমাদের নাগরিকদের মধ্যে বৃহত্তর সাফল্য নিশ্চিত করতে পারি। বর্তমানে আমাদের দেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক দিক দিয়েও অনেক সাফল্য পেয়েছে। দ্রারিদ্র বিমোচন, নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, মাতৃ ও শিশু মুত্যু হার হ্রাস, বৈষ্যম দূরীকরণ, গড় আয় বৃদ্ধি ইত্যাদি…
Read MoreDay: August 11, 2020
ব্রিগেড ফোর্স কি/ ব্রিগেড ফোর্স কাকে বলে?
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনকে তিন জন ব্রিগেড অধিনায়কের(মেজর খালেদ মোশাররফ,মেজর কে এম সফিউল্লাহ, মেজর জিয়াউর রহমান) আওতায় যে তিনটি ফোর্সে বিভক্ত করা হয় তাকে ব্রিগেড ফোর্স বলে। তিনটি ব্রিগেড ফোর্সের নাম: ‘কে’ ফোর্স –নেতৃত্ব দেন মেজর খালেদ মোশাররফ ‘এস’ ফোর্স — নেতৃত্ব দেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ ‘জেড’ ফোর্স — নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউর রহমান
Read Moreবধ্যভূমি কি/ বধ্যভূমি কাকে বলে?
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে একসাথে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হতো বা গণকবর দেওয়া হতো, সে সকল গণ কবরকে বধ্যভূমি বলা হয়। সুতরাং, বধ্যভূমি হলো এমন একটি স্থান যেখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের একাতারে গণকরব বা মাটিচাপা দিয়ে রাখা হতো। কিছু বধ্যভূমির নাম হলো: ঢাকার রায়ের বাজারের বধ্যভূমি ঢাকার মুসলিম বাজার বধ্যভূমি হরিরামপুর বধ্যভুমি, হরিরামপুর ঢাকা লালখান বাজার গাছের নীচ বধ্যভূমি চট্টগ্রাম জেনারেল পোষ্ট অফিস বধ্যভূমি সার্কিট হাউজ বধ্যভূমি জেলে পাড়া বধ্যভূমি পশ্চিম রামপুর বধ্যভূমি শ্রীমঙ্গল বধ্যভূমি ৭১, মৌলভীবাজার আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি এগুলো ছাড়ও দেশের বিভিন্ন স্থানে…
Read Moreঅনিয়মিত বাহিনী কি/অনিয়মিত বাহিনী কাকে বলে?
অনিয়মিত বাহিনীকে গণ বাহিনী বলেও অভিহিত করা হয়, ছাত্র, যুকব, শ্রমিক, কৃষক ও সকল পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন সেক্টরের অধীনে অনিয়মিত বাহিনী গঠিত হয়। এ বাহিনীর সরকারী নামকরণ করা হয় ‘গণবাহিনী’ বা এফ. এম.(ফ্রিডম ফাইটার বা মুক্তিযোদ্ধা)। পাকিস্তান হানাদারদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবার জন্য মুক্তিবাহিনীর একটি শাখা হিসেবে অনিয়মিত বাহিনী গঠিত হয়। বেসামরিক সর্বস্তরের জনগণ নিয়ে গড়ে উঠেছিল অনিয়মিত বাহিনী। এ বাহিনীর মূল উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের ভেতরে পাকিস্তানী আর্মির বিরুদ্ধে গেরিলা কায়দায় আক্রমণ করে তাদের ক্ষতিসাধন করা।
Read Moreনিয়মিত বাহিনী কাকে বলে/নিয়মিত বাহিনী কি?
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট(EBR)এর ইউনিটগুলোর বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে যে বাহিনী গঠন করা হয়েছিল তাকেই নিয়মিত বাহিনী বলে। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ সরকার নিয়মিত বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনীও গড়ে তোলে। সরকারিভাবে এদের নামকরণ করা হয় এম. এফ.(মুক্তিফৌজ)।
Read Moreমুক্তিফৌজ কাকে বলে/মুক্তিফৌজ কি?
মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধরত বাহিনীর একটি বড় অংশ ছিল নিয়মিত বাহিনীর যোদ্ধারা। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইউনিটগুলোর বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে এই বাহিনী গঠিত হয়। যেখানে বাঙালি সামরিক অফিসার ও সৈন্যদের নিয়ে গঠিত ছিল মুক্তিবাহিনীর নিয়মিত বাহিনী। এদের বলা হতো মুক্তিফৌজ। এদেরকে সেনাবাহিনীর বিধিবিধান ও নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। সুতরাং, নিয়মিত যোদ্ধাকে নিয়ে গঠিত বাহিনীকে বলা হয় মুক্তিফৌজ। সরকারিভাবে এদের নামকরণ করা হয় এম. এফ.(মুক্তিফৌজ)।
Read Moreযৌথ বাহিনী কি/ যৌথ বাহিনী কাকে বলে?
মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাহিনীকে যৌথ বাহিনী বলে। পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর সুদৃঢ় আক্রমণের জন্য ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথ বাহিনী গঠন করে। যৌথ বাহিনী গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকবাহিনীকে পরাস্থ করা। যৌথবাহিনীর আক্রমণের ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শত্রুমুক্ত হয়েছিল। যৌথ বাহিনীর তীব্র আক্রমণের দরুন ৯৩ হাজার পাকসেনা নিঃশর্তে যৌথ কমান্ডের নিকট আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। ১৬ই ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর প্রধানের নিকট পাকিস্তান বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি। যৌথ বাহিনীর কমান্ডার জগজিৎ সিং আরোরার…
Read More