মহাশূন্য কি বা মহাশূন্য কাকে বলে?

মহাশূন্য কি বা মহাশূন্য কাকে বলে?

মহাশূন্য হলো পৃথিবীর বায়ুবণ্ডলের বাহিরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মহাবিশ্বের সমস্ত কিছুই, যেমন: গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ এবং গ্যালাক্সি ইত্যাদির মাঝখানে ফাঁকা স্থান বা খালি জায়গা বিদ্যমান রয়েছে এই খালি জায়গা বা ফাঁকা স্থানকে মহাশূন্য বলে।

বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল যেখানে শেষ সেখান থেকেই মহাশূন্য শুরু।

মহাশূন্য খুবই বিস্ময়কর যেমন: আপনি যদি মহাশূন্যে কথা বা চিৎকার করেন, আপনার কথা বা চিৎকার আপনার পাশে থাকা কেই শুনতে পারবে না। কারণ মহাশূন্যে কোন বায়ু নেই। এটি একটি শূন্যস্থান বা ফাঁকা স্থান। আর শব্দ তরঙ্গ শূন্যতার মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করতে পারে না।

স্পেস বা মহাশূন্য সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য:



  • স্পেস/মহাশূন্য পুরোপুরি নীরব বা শান্ত। যার ফলে সেখানে শোনার কোনও উপায় নেই। মহাকাশচারী রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করেন যোগাযোগের জন্য।
  • মহাশূন্যে ভাসমান পানি রয়েছে।
  • মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতটি হল অলিম্পাস মনস, যা মঙ্গল গ্রহে অবস্থিত। যা আমাদের পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত এভারেস্ট এর চেয়েও অনেক বড়।
  • বৃহস্পতি গ্রহকে প্রদক্ষিণ করে ৭৯ টি চাঁদ রয়েছে।
  • মহাবিশ্বের মাত্র ৫% পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান।
  • আমরা পৃথিবীতে যেখানেই থাকি না কেন, আমরা সবসময় চাঁদের একই দিক দেখতে পাই।
  • মহাকাশে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম ছিল “স্পুটনিক”।
  • হীরার তৈরি একটি গ্রহ রয়েছে যা পৃথিবীর আকারের দ্বিগুণ।
  • পৃথিবীর ওজন চাঁদের চেয়ে প্রায় ৮১ গুণ বেশি।
  • শুক্রের একদিন পৃথিবীতে এক বছরের বেশি দীর্ঘ হয়।

Related posts

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.