সালোকসংশ্লেষণ কাকে বলে বা সালোকসংশ্লেষণ কি?

সালোকসংশ্লেষণ কাকে বলে বা সালোকসংশ্লেষণ কি?

সালোকসংশ্লেষণ একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সবুজ উদ্ভিদ/গাছপালা সূর্যালোকের উপস্থিততে কার্বনডাইঅক্সাইড ও পানি সহযোগে শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করে, এই প্রক্রিয়াকেই সালোকসংশ্লেষণ বলে। সুতরাং; সালোকসংশ্লেষণ একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যা গাছের অভ্যন্তরে ঘটে এবং গাছের বেঁচে থাকার জন্য সালোকসংশ্লেষণ প্রকিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করে। সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজন কার্বন ডাই অক্সাইড, জল এবং আলো। উদ্ভিদ/গাছপালার শ্বাস, বৃদ্ধি এবং পুনরুত্পাদন করার জন্য প্রয়োজন খাদ্য, আর গাছপালা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া দ্বারা নিজস্ব খাদ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়। সালোকসংশ্লেষণ একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সবুজ গাছপালা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জল ব্যবহার করে শক্তি তৈরি করে। সালোকসংশ্লেষণ এর গুরুত্ব/প্রয়োজনীয়তা:…

Read More

ব্যাপন কাকে বলে বা ব্যাপন কি?

ব্যাপন কাকে বলে বা ব্যাপন কি?

একই তাপমাত্রা ও চাপে কোনো পদার্থের উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চল থেকে নিম্ন ঘনত্বের অঞ্চলে বিস্তার করার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে। সহজ ভাষায়; উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চল থেকে নিম্ন ঘনত্বের অঞ্চলে ডিফিউশনকে/ব্যাপনকে কণার এলোমেলো আন্দোলন হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি, ডিফিউশন/ব্যাপন হল উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চল থেকে নিম্ন ঘনত্বের অঞ্চলে অণু বা পরমাণুর নেট চলাচল। উদারহণ: পারফিউম বা রুম ফ্রেশনারের একটি স্প্রেতে বাতাসে ছড়িয়ে পড়বে যার মাধ্যমে আমরা গন্ধ অনুভব করতে পারি। ব্যাপন দুই প্রকার:  Simple diffusion Facilitated diffusion ব্যাপন এর গুরুত্ব:  ডিফিউশন হল একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে পদার্থের চলাচল…

Read More

অভেদ্য পর্দা কি বা অভেদ্য পর্দা কাকে বলে?

অভেদ্য পর্দা কি বা অভেদ্য পর্দা কাকে বলে?

যেসব পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রব উভয় প্রকার পদার্থের অণুগুলো চলাচল করতে পারে না তাকে অভেদ্য পর্দা বলে।  অর্থাৎ যে পর্দা দিয়ে তরল পদার্থ চলাচল করতে পারে না তাকেই অভেদ্য পর্দা বলে অবহিত করা হয়। যেমন: পলিথিনকে অভেদ্য পর্দা বলা হয় কারণ পলিথিনের মধ্য দিয়ে তরল পদার্থের চলাচল করা সম্ভব হয় না বা দ্রাবক ও দ্রব পদার্থের অণুগুলো যাতায়াত করতে পারে না। এজন্যই পলিথিনকে অভেদ্য পর্দা বলে।

Read More

প্রস্বেদন কি/প্রস্বেদন কাকে বলে?

প্রস্বেদন কি/প্রস্বেদন কাকে বলে?

উদ্ভিদের দেহাভ্যন্তর থেকে পাতার মাধ্যমে বাষ্পাকারে  পানি নির্গমনের প্রক্রিয়াকে প্রস্বেদন বলে। প্রস্বেদন এর ইংরিজি হলো: Transpiration. অর্থাৎ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ তার দেহের অভ্যন্তরে অবস্থিত পানি বাষ্পাকারে বাহিরে বের করে তাকেই প্রস্বেদন বলা হয়। জল মাটি থেকে গাছের শিকড়গুলিতে স্যাপউডের মাধ্যমে পাতায় চলে যায়। সূর্যের দ্বারা উষ্ণ জল, বাষ্পে পরিণত হয় (বাষ্পীভবন), এবং বেশিরভাগ পাতার পৃষ্ঠের নীচে হাজার হাজার ক্ষুদ্র ছিদ্র (স্টোমাটা) দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াকেই প্রস্বেদন বলা হয়ে থাকে। উদ্ভিদ দেহে শোষিত পানি বাষ্পাকারে প্রস্বেদনের মাধ্যমে দেহ থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বের করে দেয়। বিভিন্ন কারণে উদ্ভিদগুলিকে নিজেরাই শীতল…

Read More

ব্যাপন চাপ কি /ব্যাপন চাপ কাকে বলে?

ব্যাপন চাপ কি /ব্যাপন চাপ কাকে বলে?

ব্যাপনকারী পদার্থের পরমাণুগুলোর গতিশক্তির প্রভাবে যে চাপের সৃষ্টি হয় তাকে ব্যাপন চাপ বলে। অর্থাৎ ব্যাপনের চাপ কম ঘনত্বের অঞ্চলে সর্বাধিক ঘনত্বের অঞ্চল থেকে বিচ্ছুরণের সম্ভাব্য ক্ষমতা প্রকাশ করে। যখন তাপমাত্রা সমাপ্ত বায়ুমণ্ডলীয় চাপটি ধ্রুবক থাকে তখন উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চল থেকে কম ঘনত্বের অঞ্চলে বিস্তার লাভ করার প্রচ্ছন্ন ক্ষমতাকে ব্যাপন চাপ বলে । উদাহরণস্বরূপ, একটি বেলুনের অভ্যন্তরে বাতাসের ছড়িয়ে পড়া চাপ বাইরের ছড়িয়ে পড়া চাপের চেয়ে বেশি। ফলস্বরূপ, যদি বেলুনটি ফেটে যায় তবে তার বর্ধমান চাপের কারণে বেলুনের অভ্যন্তরের বাতাসটি চারপাশের বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। ডিফিউশনকে(ব্যাপন) প্রভাবিত করার কারণগুলি: কোনও পদার্থের বিস্তৃতি…

Read More

শোষণ কাকে বলে বা শোষণ কি?

শোষণ কাকে বলে বা শোষণ কি?

মাটি থেকে পানি ও পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবন উদ্ভিদের দেহের সজীব কোষে টেনে নেওয়ার পদ্ধতিকে সাধারণভাবে শোষণ বলে। উদ্ভিদের সঠিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন খনিজ লবনের। তাই উদ্ভিদ তার প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ শোষণ করে মাটির নিচের পানি থেকে। মাটিস্থ পানিতে খনিজ লবণ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। উদ্ভিদ মূলরোমের সাহায্যে মাটি থেকে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে থাকে। শোষণ প্রধানত দুই উপায়ে হয়ে থাকে, যেমন; নিষ্ক্রিয় শোষণ সক্রিয় শোষণ নিষ্ক্রিয় শোষণ: এ প্রক্রিয়ায় বিপাকীয় শক্তি ব্যবহার না করে জল শোষণ অর্থাৎ উদ্ভিদের মূলরোম ইমবাইবিশন ও অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে। সক্রিয় শোষণ: বিপাকীয়…

Read More

ইমবাইবিশন কি বা ইমবাইবিশন কাকে বলে এবং এর প্রক্রিয়া?

সেরিবেলাম কি বা সেরিবেলাম কাকে বলে?

কলয়েডধর্মী বিভিন্ন পদার্থ কর্তৃক তরল পদার্থ শোষনের প্রক্রিয়াকেই ইমবাইবিশন বলা হয়। যেমন: শুকনো বীজ দীর্ঘ সময় পানিতে রাখলে জল শোষণ করে। আবার বীজ এবং শুকনো কাঠ দ্বারা জল শোষণও অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং,  যে পদার্থগুলি জল শোষণ করে, তাকে হাইড্রোফিলিক পদার্থ বলে। আর ইমবাইবিশন হল হাইড্রোফিলিক কলয়েড দ্বারা জলের শোষণ। শুকনো, আধা-শুকনো কলয়েডাল পদার্থ দ্বারা পানির শোষণকে ইম্বিবিশন বলে। আরও সহজেই বলা যেতে পারে যে উদ্ভিদ কোষ প্রাচীর, প্রোটোপ্লাজম ইত্যাদি দ্বারা জল শোষণের প্রক্রিয়াটিকে ইমবাইবিশন বলা হয়। ইমবাইবিশন গুরুত্বপূর্ণ কেন: ইমবাইবিশন হল বীজ বা উদ্ভিদের জল শোষণ এর এমন একটি প্রক্রিয়া যা…

Read More

ভেদ্য পর্দা কাকে বলে বা ভেদ্য পর্দা কি?

ভর কি বা ভর কাকে বলে?

যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয়েরই অণু সহজে চলাচল করতে পারে তাকে ভেদ্য পর্দা কাকে বলে। যেমন: কোষপ্রাচীর। অর্থাৎ সহজ ভাষায়, যার মধ্য দিয়ে তরল পদার্থ সহজেই চলাচল করতে পারে তাকেই ভেদ্য পর্দা বলে। দ্রাবক: দ্রাব যাতে দ্রবীভূত হয়। যেমন – পানি। দ্রাব: দ্রাবকে যা দ্রবীভূত হয়। যেমন -চিনি, লবণ ইত্যাদি। অভিস্রবণ সিলেকটিভলি ভেদ্য পর্দার মধ্যে দিয়ে দ্রাবক পদার্থ স্থানান্তরিত হয়।

Read More

বাংলা সাহিত্যের ক্লাসিক কবি কে?

ভর কি বা ভর কাকে বলে?

প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের ক্লাসিক কবি কে? ক) সুধীন্দ্রনাথ দত্ত খ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত গ) বিহারীলাল চক্রবর্তী ঘ) অমিয় চক্রবর্তী উত্তর: ক) সুধীন্দ্রনাথ দত্ত সুধীন্দ্রনাথ দত্ত কলকাতার হাতীবাগানে ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হীরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং মাতা ইন্দুমতি বসুমল্লিক। তাকে বাংলা কবিতায় “ধ্রুপদী রীতির প্রবর্তক” বলা হয়। সুধীন্দ্রনাথের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো: ক্রন্দসী, তন্বী, দশমী, সংবর্ত, অর্কেষ্ট্রা, সংবর্ত।

Read More

সাহিত্য সম্রাট কাকে বলা হয়?

অ্যানায়ন কি বা অ্যানায়ন কাকে বলে?

প্রশ্ন: সাহিত্য সম্রাট কাকে বলা হয়? ক) বিহারীলাল চক্রবর্তী খ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঘ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উত্তর: খ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন চব্বিশ পরগণার অন্তর্গত কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং মাতার নাম দুর্গাসুন্দরী দেবী। তিনি বাংলা সাহিত্যে অমরত্ব লাভ করেছেন বাংলা গদ্য ও উপন্যাস বিকাশের মাধ্যমে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসগুলো: কপালকুণ্ডলা, সীতারাম, কৃষ্ণকান্তের উইল, দুর্গেশনন্দিনী, মৃণালিনী, চন্দ্রশেখর, রাজসিংহ ইত্যাদি।

Read More