ডাটা কত প্রকার ও কি কি উদাহরনসহ

ডাটা কত প্রকার ও কি কি উদাহরনসহ

ডাটা কম্পিউটার দ্বারা প্রক্রিয়াকৃত বা সঞ্চিত তথ্য। এই তথ্যটি পাঠ্য নথি, চিত্র, অডিও ক্লিপ, সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম বা অন্যান্য ধরণের ডাটা আকারে থাকতে পারে।

ডাটা কত প্রকার ও কি কি

বিভিন্ন লেখক বিভিন্নভাবে ডাটার শ্রেণীবিভাগ করেছেন। বেশিরভাগ লেখক এর মতে ডাটা প্রধানত ৩ প্রকার যথাঃ

  • নিউমেরিক ডাটা
  • নন-নিউমেরিক ডাটা
  • বুলিয়ান বা লজিকাল ডাটা

১. নিউমেরিক ডাটাঃ

সংখ্যার ডেটা মানে নিউমেরিক ডাটা বোঝায় অর্থাৎ যে সকল ডাটা দ্বারা কোন পরিমান বা সংখ্যা প্রকাশ করে তাদেরকে নিউমেরিক ডাটা বলে। যেমনঃ ৫০, ১০০, ১০.২০, ২০.২৫ ইত্যাদি।

নিউমেরিক ডাটাকে আবার ২ ভাগে ভাগ করে। যথাঃ
  1. পূর্ন সংখ্যা বা Integer
  2. ভগ্নাংশ সংখ্যা বা Floating Point

২. নন-নিউমেরিক ডাটাঃ

অ-সংখ্যাসূচক বা নন-নিউমেরিক ডাটা এমন ডাটা যা পর্যবেক্ষণ করা হয়, পরিমাপ করা হয় না। অর্থাৎ যে ডাটা কোন পরিমান বা সংখ্যা প্রকাশ করে না তাদেরকে নন-নিউমেরিক ডাটা বলে। যেমনঃ মানুষ, চাকরি, বালিশ, কবিতা ইত্যাতি।

৩. বুলিয়ান বা লজিক্যাল ডাটাঃ

কম্পিউটার বিজ্ঞানে, বুলিয়ান ডাটা টাইপ এমন একটি ডাটা টাইপ যার দুটি সম্ভাব্য মানগুলির মধ্যে একটি (সাধারণত সত্য এবং মিথ্যা চিহ্নিত করা হয়) যা লজিক এবং বুলিয়ান বীজগণিতের দুটি সত্য মানের প্রতিনিধিত্ব করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়। এটি জর্জ বুলের নামে নামকরণ করা হয়েছিল যিনি ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম যুক্তির একটি বীজগণিত ব্যবস্থা সংজ্ঞায়িত করেছিলেন।

আরো সহজ ভাষায়, যে ডাটার শুধুমাত্র ২ টি অবস্থা থাকতে পারে যেমন সত্য বা মিথ্যা অথবা ০ ও ১ ইত্যাদি সে সকল ভাষাকে বুলিয়ান বা লজিক্যাল ডাটা বলে।

ডাটা সম্পর্কিত আমাদের আরো আর্টিকেল পড়ুনঃ

উপাত্ত ও তথ্যের ধারণা এবং পার্থক্য

Related posts

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.