অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি কি?

অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি কি

চুক্তি হলো অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি। চুক্তি দ্বারাই অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তি মৌখিক, লিখিত, নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত হয়ে থাকে।

অর্থাৎ চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় মিলিত হয়ে যে ব্যবসায় সংগঠন গঠিত, পরিচাীলত ও নিয়ন্ত্রিত করে তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলা হয়।

অংশীদারি চুক্তিপত্র কি?

অংশীদারি ব্যবসায়ের অংশীদারদের মধ্যকার চুক্তির বিষয়সমূহ যে দলিলে উল্লেখ বা লিপিবদ্ধ করে, তাকে অংশীদার চুক্তিপত্র বলে। অংশীদারি চুক্তিপত্র অনুযায়ী অংশীদারি ব্যবসায় পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করা হয়। অর্থাৎ চুক্তিপত্র অংশীদারি ব্যবসায়ের ভবিষ্যৎ দিক-নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। চুক্তিতে অংশীদারি ব্যবসায়ের ভবিষ্যত সমস্যার সমাধান করার প্রয়োজনীয় সকল করণীয়সমূহ নির্ধারণ করা হয়। 

অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তি মৌখিক, লিখিত, নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত হতে পারে। অংশীদারি চুক্তিপত্র লিখিত হতে হবে তার কোনো আবশ্যকতা নেই। তবে ব্যবসায়ের ভবিষ্যত সমস্যার সমাধান করার জন্য চুক্তি লিখিত ও সতর্কতার সাথে করা উচিত।

অংশীদারি ব্যবসায়ের উদাহরণ:

রিমন, ময়নাল, শাকিল তিন বন্ধু চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের ভিতিত্তে একটি ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তোলে। চুক্তি অনুযায়ী তারা লাভ-লোকসান সমান হারে বণ্টন করে। ময়নাল ব্যবসায় পরিচালনার কাজে অংশগ্রহণ করে না। তবে রিমন ও শাকিল ব্যবসায় পরিচালনা করে। 

উপরের উল্লিখিত ব্যবসায়টি হলো অংশীদারি ব্যবসায়। কারণ দুইয়ের অধিক ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যবসায় গড়ে তোলে।

অংশীদারি চুক্তিপত্রে যে বিষয়সমূহ থাকে:

  • অংশীদারি ব্যবসায়ের নাম কি হবে তা উল্লেখ থাকে।
  • ব্যবসায়ের ঠিকানা উল্লেখ থাকে।
  • সংগঠনের কার্যকাল ও স্বায়িত্ব উল্লেখ থাকে।
  • প্রত্যেক অংশীদারের নাম, ঠিকানা ও পেশা কি তা লিপিবদ্ধ থাকে।
  • প্রত্যেক অংশীদারের মূলধনের পরিমান ও পরিশোধ পদ্ধতি লিপিবদ্ধ থাকে।
  • অংশীদারি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার নিয়মসমূহ উল্লেখ থাকে।
  • ভ্যবসায়ের লাভ ও লোকসান বণ্টনের প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকে
  • কোন কোন অংশীদার সংগঠন প্রত্যক্ষভাবে পরিচালনা করবে তাদের পরিচিতি উল্লেখ থাকে।
  • অংশীদারদের দায়িত্ব, ক্ষমতা ও অধিকার কি কি তা উল্লেখ থাকে।
  • অংশীদারদের অবসরগ্রহণ ও বহিষ্কার পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য থাকে।
  • ভবিষ্যত সমস্যার সমাধান পদ্ধতি উল্লেখ থাকে।
  • অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন পদ্ধতি লিপিবদ্ধ থাকে, ইত্যাদি।

Related posts

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.