কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)কম্পিউটার বিজ্ঞানের এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয় অর্থাৎ মেশিনগুলি মানুষের বুদ্ধি অনুকরণকে বোঝায় যেগুলি মানুষের মতো চিন্তা করতে এবং তাদের ক্রিয়াকলাপ অনুকরণ করার জন্য প্রোগ্রামিং করা হয়।
সর্বপ্রথম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শব্দটি ১৯৫6 সালে জন ম্যাকার্থারির দ্বারা প্রথম তৈরি করা হয়েছিল। অনেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে রোবটকে বুঝিয়ে থাকেন।
একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মেশিন যা করতে পারে:
- মানুষের মতো শিখতে পারে
- যুক্তি প্রদান করতে পারে
- সমস্যা-সমাধান করতে পারে
- ভাষা বোঝার ক্ষমতা রাখে
- উপলদ্ধি করতে পারে
যেসব ক্ষেত্রে বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা/ Artificial Intelligence ব্যবহৃত হচ্ছে:
- ডিজাইন / বিনোদনের ক্ষেত্রে
- সাইবার নিরাপত্তা
- ভিডিও গেমস
- স্মার্ট গাড়িতে
- ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে
- আপনার মেল স্প্যাম ফিল্টার করতে
- উবার এ আপনার ভ্রমণের দাম নির্ধারণ করতে
- ডেটা সেন্টার ম্যানেজমেন্টে
- জিনোমিক্স / সিকোয়েন্সিং / ড্রাগ আবিষ্কার
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারিতা:
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের ফলে ত্রুটি বা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম বা প্রায় শূন্য থাকে।
- এআই ব্যবহার করে স্মার্ট কার্ড-ভিত্তিক সিস্টেমে জালিয়াতি সনাক্তকরণ সম্ভব।
- রোবোটিকস পোষা প্রাণী হতাশায় আক্রান্ত রোগীদের সহায়তা করতে এবং তাদের সক্রিয় রাখতে পারে।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্যতম একটি প্রধান সুবিধা হলো, এটিকে মানুষের বিপরীতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে ব্যবহার করা যায়।
- মানুষের ক্ষেত্রে ৪-৫ ঘন্টা কাজ করার পর বিরতির প্রয়োজন কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন একটি যন্ত্র কোনো প্রকার বিরতি ছাড়াই কাজ করতে পারে।
- দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার।
- তারা মস্তিষ্কের চেয়ে বেশি ডেটা সঞ্চয় করতে পারে।
- দ্রুততার সাথে কাজ করার ক্ষমতা।
- তারা আবেগ ছাড়াই যৌক্তিকভাবে চিন্তা করতে পারে এবং যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
- কার্ড-ভিত্তিক সিস্টেমে এবং ভবিষ্যতে সম্ভবত অন্যান্য সিস্টেমে জালিয়াতি সনাক্ত করতে পারে।
কৃত্তিম বুুদ্ধমত্তার অপকারিতা:
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মেশিন দিয়ে মানুষের প্রতিস্থাপন সমাজে বড় বেকার সম্ভাবনার দিকে পরিচালিত করে।
- মানুষ Artificial Intelligence এর উপর খুব নির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে এবং তাদের মানসিক ক্ষমতা হারাতে পারে।
- মেশিন মানেই ধ্বংসাত্মক, ভুল প্রোগ্রামিং বা অন্যান্য ত্রুটির কারনে তারা মানুষের জন্য বিপদের কারন হয়ে উঠতে পারে।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মেশিন তৈরি ও বাস্তবায়নে বিপুল অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন।
- মানুষ অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং সংবেদনশীল বুদ্ধিজীবী। হুবহু মানুষের মস্তিষ্কের অন্তর্নিহিত স্বজ্ঞাত ক্ষমতাগুলি পুনরায় তৈরি করা সম্ভব না।
- Artificial Intelligence মেশিনগুলি স্ক্রিপ্ট ভিত্তিক অর্থাৎ তাদেরকে যে প্রোগ্রামিং কোড দেওয়া হবে তারা সেগুলো ব্যাতীত কিছু করতে পারবে না।
- তাদের ফলাফল হ্যাক করা যেতে পারে।
- কোডিং করা থাকলে তারা কাজগুলি শিখতে এবং আরও উন্নত করতে পারে তবে এটি সন্দেহজনক যে এটি কখনই মানুষের মতো করতে পারে না।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবকে পণ্য হিসাবে বিবেচনা করে।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভুল ব্যবহারের ফলে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হতে পারে।
যদিও আমরা Artificial Intelligence থেকে অনেক সুবিধা পাচ্ছি বর্তমান সময়ে তবে তা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের জন্য বিপদের কারন হতে পারে। আমরা অতিমাত্রায় মেশিন নির্ভর হয়ে পরছি যা একটি বড় উদাহরণ।
Leave a Reply